Translate

নামকরনের মজার ইতিহাস ও তার সার্থকতা!!!

বিভিন্ন প্রযুক্তিগত জনপ্রিয় এবং ব্যাপক ব্যবহৃত শব্দগুলোও কিছু দিন আগেও কেউ শোনে নি। আবার অনেক অনেক নাম জনপ্রিয় হতে দৌড়ে আসছে। হুট করে মনের অজন্তে বা অনেক গবেষণালব্ধ অনেক দুনিয়া কাপানো নামই এই  কোটি কোটি মানুষের ভালবাসা সিক্ত হয়েছে। সেই সব জনপ্রিয় নামগুলোর কয়েকটা সম্পর্কে আসুন জেনে নেই।

গুগল (GOOGLE)

GoogleWifi
শব্দটি মূলতঃ গানিতিক Googol থেকে নেওয়া হয়েছে। যার অর্থ হলো একের পরে ১০০ টি শূণ্য দিলে যা হয়। অর্থাৎ
10000000000,0000000000,0000000000,0000000000,0000000000,
0000000000,0000000000,0000000000,0000000000,0000000000.
সম্ভবতঃ তারা ইন্টারনেটের বিশাল তথ্য ভান্ডারের বিশলতাকে একসাথে এনে দেওয়ার কাজটি শুরু করেছে এই নাম দিয়ে। তাই নতুন নতুন অনেক সার্ভিসই শুরু হচ্ছে এই নাম দিয়ে থেকে।

এপল (APPLE)

apple_2007
Steve Jobs ও Steve Wozniak মিলে ১৯৭৬ সালে ১লা মার্চ একটি কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান করার কথা চিন্তা করেন। স্টিভ জবস Oregon নামের একটি প্রতিষ্ঠানে পার্ট টাইম কাজ করতেন। তিনি তার প্রতিষ্ঠানটির নাম তথ্য প্রযুক্তির বাইরের কোন নাম দিতে চান। সেই সময়ের Apple Recordsএরও ভক্ত ছিলেন তিনি। Apple নামটির মধ্যে একটি রিদম ও ছন্দ খুজে পান তিনি। (অনেকে বলে থাকেন যে) আপেল ছিল স্টিভ জবসের প্রিয় ফল, তাই তিনি তার প্রিয় প্রতিষ্ঠানটির নামের ক্ষেত্রেও এই ফলটিকে গুরুত্ব দেন।

ইয়াহু(YAHOO)

Yahoo
“গালিভারের ভ্রমন” গল্পে Jonathan Swift সর্ব প্রথম ইয়াহু শব্দটি ব্যবহার করেন। isbarely এলাকায় প্রবেশের পর গালিভার এক ভিন্ন ধরনের মানুষের স্বাক্ষাত পান। সেখানকার একজন ব্যক্তিকে প্রকাশ করতেই ইয়াহু শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল।
ইয়াহুর প্রতিষ্ঠাতা Jerry Yang এবং David Filo তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম দেয়ার ক্ষেত্রে এটি পছন্দ করেন কারন তারা তাদেরকে সেই সব মানুষের মতোই তুলনা করে মজা পেয়েছিলেন। তাছাড়া নামটিতে একটি আকর্ষনীয় ও উচ্ছলভাব আছে।

মাইক্রোসফট(MICROSOFT)

Microsoft-logo
বিলগেটসের MICRO Computer SOFTware নামটি থেকে MICRO-SOFT নামটির অবতারনা করা হয়। পরবর্তিতে ‘-‘ বাদ দিয়ে Microsoft নামটি গ্রহণ করা হয়।

রেড হ্যাট(RED HAT)

নামকরনের মজার ইতিহাস ও তার সার্থকতা
রেড হ্যাটের প্রতিষ্ঠাতা Marc Ewing দাদার প্রতিষ্ঠিত কলেজে পুরষ্কার হিসেবে একটি টুপি উপহার পান যেটিতে সাদা ও লাল রঙের চেক ছিল। তিনি সেই পুরষ্কারের হ্যাটটি হারিয়ে ফেলেন। অনেক খোজাখুজির পরও সে তা খুজে পায় নি।
তিনি তার টুপিটিকে খুজে পাওয়ার জন্য তার পাঠকদের মাঝে লিনাক্সের রেড হ্যাট বেটা ভারসন রিলিজ করেন। পরবর্তিতে তার প্রতিষ্ঠান রেড হ্যাটে ব্যাপক উন্নয়নে সে তার হারানো গৌরব ফিরে পেলেন।
এছাড়াও অনেক মজার মজার গল্প আছে নাম করণ নিয়ে। আপতত এইটুকুই।
Share on Google Plus

About Unknown

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় পাঠক, আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগায় তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত/মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।পোস্টটি পড়ার পর আপনার ভাল-লাগা,মন্দ-লাগা,জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আপনার একটি মন্তব্যই আমার নিকট অনেক মূল্যবান।আসসালামু আলাইকুম...