- উইন্ডোজ সুরক্ষিত রাখার পাচঁ মন্ত্র [পর্ব-০১] :: জেনে নিন”Safety Scanner”(সেফটি স্ক্যানার) টুল টি সম্পর্কে,আপনার পিসির জন্য কাজে আসবে অবশ্যই!!!
- উইন্ডোজ সুরক্ষিত রাখার পাচঁ মন্ত্র [পর্ব-২] :: জেনে নিন “BLUE COAT K9(ব্লুকোট কে-৯)” টুল টি সম্পর্কে,এবার আপনার ব্রাউজিং হবে আরো নিরাপদ সাথে হবে ওয়েব প্রোটেকশন।
- উইন্ডোজ সুরক্ষিত রাখার পাচঁ মন্ত্র [পর্ব : ৩]::জেনে নিন আভাষ্ট(Avast) অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি সম্পর্কে,পিসির অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার হিসেবে কোনটি ব্যাবহার করবেন,সেটা নিজেই সিদ্ধান্ত নিন!!!
আজকের
টিউনে আমরা আলোচনা করব আভাষ্ট অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি সম্পর্কে।গত
পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম "ব্লুকোট কে-৯" সফটওয়্যারটি সম্পর্কে।
যেখানে
আমরা জেনেছিলামঃসফটওয়্যারটির ব্যাবহার ও সফটওয়্যারটির কয়েকটি
গুরূত্বপূর্ন কাজ সম্পর্কে।যদি গত পর্ব মিস করে থাকেন,তাহলে টিউনটি একবার
দেখে নিতে পারেন।
আগের টিউনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
আজকে যেহেতু আমরা আভাষ্ট অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি সম্পর্কে আলোচনা করব,সেহেতু কথা না বাড়িয়ে চলুন টিউন শুরু করা যাক।কম্পিউটার নিরাপদ রাখতে একটি ভাল অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের বিকল্প নেই!যারা প্রতিনিয়ত কম্পিউটার ব্যাবহার করেন,তারা অবশ্যই কোনো না কোনো অ্যান্টিভাইরাসের সফটওয়্যার ব্যাবহার করেন।কারনঃআমরা ভাল করেই জানি যে,একটি কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি ভাল অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে।বাজারে এখন নানা ব্র্যান্ডের অ্যান্টিভাইরাস পাওয়া যায়।একেকটির একেক রকম দাম।যারা এরকম ক্রয় করার ঝামেলায় যেতে চান না,তারা ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন রকম অ্যান্টিভাইরাস ডাউনলোড করে ব্যাবহার করে থাকেন।ইন্টারনেটেও অনেক অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ক্রয় করে ব্যাবহার করতে হয় কিন্তু এরই মধ্যে অনেক অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার বিনা মূল্যে পাওয়া যায়।ইন্টারনেট দুনিয়ায় বিনা মূল্যে পাওয়া যায় এরকম অ্যান্টিভাইরাসের মধ্যে আভাষ্ট বেশ এগিয়ে। অনেকের হয়ত ধারনা যে-বিনা মূল্যে পাওয়া এরকম অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলো,বাজার বা ইন্টারনেট থেকে ক্রয়কৃ্ত সফটওয়্যারগুলোর মত পিসির জন্য এত নিরাপত্তা দিতে পারে না!
কিন্তু মনে রাখবেনঃআপনি
যদি আপনার ব্যাবহারকৃ্ত অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট
থেকে আপডেট দেন,তাহলে সেই সফটওয়্যারও আপনার পিসির সর্বোচ্চ সুরক্ষা
নিশ্চিত করবে।
এই অ্যান্টিভাইরাস অর্থাৎ আভাষ্ট অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটির ভূমিকা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে যে,পিসি বুটআপের সময় স্ক্যান করার ক্ষেত্রে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।এছাড়াও এই সফট ওয়্যারটি স্পাইওয়্যার এবং রুটকিটও ধরতে পারে।তাছাড়া পিসি স্ক্যান করার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে।সফটওয়্যারটি আপডেট করতেও কোনো প্রকার ঝামেলা নেই।পিসিতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে সফটওয়্যারটি অটোমেটিক আপডেট নিবে।যারা নতুন পিসি কিনবেন বা পিসি নতুন ব্যাবহার করছেন,তারা এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে দেখতে পারেন।
এই অ্যান্টিভাইরাস অর্থাৎ আভাষ্ট অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটির ভূমিকা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে যে,পিসি বুটআপের সময় স্ক্যান করার ক্ষেত্রে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।এছাড়াও এই সফট ওয়্যারটি স্পাইওয়্যার এবং রুটকিটও ধরতে পারে।তাছাড়া পিসি স্ক্যান করার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে।সফটওয়্যারটি আপডেট করতেও কোনো প্রকার ঝামেলা নেই।পিসিতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে সফটওয়্যারটি অটোমেটিক আপডেট নিবে।যারা নতুন পিসি কিনবেন বা পিসি নতুন ব্যাবহার করছেন,তারা এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে দেখতে পারেন।
আভাষ্ট অ্যান্টিভাইরাসের কয়েকটি ভাল দিক হলঃ-এতে
বিল্টইন অ্যান্টিস্পাইওয়্যার,বিল্টইন অ্যান্টিরুটকিট,অটোমেটিক
আপডেট,ওয়েব শিল্ড,নেটওয়ার্ক শিল্ড,অ্যান্টিভাইরাস কার্নেল,সিষ্টেম
ইন্টিগ্রেশন এবং ৬৪ বিট উইন্ডোজ সাপোর্ট রয়েছে।
আপনাদের
মধ্যে যারা,ক্যাস্পার-স্কি বা আভিরা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যাবহার
করছেন,তাদেরকে বলতে চাই যে-আভিরা,ক্যাস্পার-স্কি বা অন্যান্য
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলোও ভাল।কিন্তু আভাষ্ট অ্যান্টিভাইরাসটি
অন্যান্য সফটওয়্যারগুলো থেকে আমি ভাল মনে করি।কারনঃআমি এটা নিজে ব্যাবহার
করছি।আমাদের মধ্যে অনেকে আভিরা অ্যান্টিভাইরাস ব্যাবহার করে থাকি। আভিরা
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি অনেক সময় প্রয়োজনীয় অনেক ফাইল বা প্রোগাম
ভাইরাস হিসেবে ডিটেক্ট করে।যার ফলে অনেক সময় পিসি থেকে অনেক গুরূত্বপূর্ন
ডাটাসমূহ ডিলেট হয়ে যায়।অন্যদিকে ক্যাস্পার-স্কি অ্যান্টিভাইরাস
সফটওয়্যারও এখন ব্যাপক জনপ্রিয়।এই ক্যাস্পার-স্কি অ্যান্টিভাইরাস
সফটওয়্যার ব্যাবহার করার ফলে পিসি অনেক সময় স্লো করে,তাছাড়া পিসি অন
করার সময়ও তূলনামূলকভাবে দেরিতে অপেন হয়।
এবার সিদ্ধান্ত আপনার>>অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার হিসেবে আপনি কোনটা ব্যাবহার করবেন!!!
যাই হোক,এতক্ষন অনেক আলোচনা হল।আসুন এবার আভাষ্ট সফটওয়্যাটি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই ডাউনলোড করে নিই>>>
এই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার জন্য নিচের লিঙ্কে যান।
এই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার জন্য নিচের লিঙ্কে যান।
লিঙ্কে প্রবেশ করার পর নিচের ছবির মত দেখতে পাবেন।
যেহেতু আমরা সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করব,সেহেতু বামদিকের Free Antivirus এর নিচে Download অপশনটাতে ক্লিক করুন।
ক্লিক করার পর নিচের ছবির মত একটি উইন্ডো ওপেন হবে।
যেহেতু আমরা সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করব,সেহেতু বামদিকের Free Antivirus এর নিচে Download অপশনটাতে ক্লিক করুন।
ক্লিক করার পর নিচের ছবির মত একটি উইন্ডো ওপেন হবে।
এখান থেকে আমরা No thanks,i want free protection-এ ক্লিক করব।ক্লিক করার পর আমরা সফটওয়্যারটির ডাউনলোড লিঙ্ক পেয়ে যাব।
এবার উপরের ছবির মত চিহ্নিত স্থানে ক্লিক করলেই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।
ডাউনলোড
করা যদি শেষ হয়,তাহলে আসুন এক বছরের জন্য সফটওয়্যারটির লাইসেন্স কী
নিয়ে নিই।তাও আবার তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই।লাইসেন্স কী-র জন্য
আগের লিঙ্কেই যান অথবা এখানে ক্লিক করুন।
লিঙ্কে যাবার পর নিচের ছবির মত Support থেকে License Center-এ ক্লিক করুন।
লিঙ্কে যাবার পর নিচের ছবির মত Support থেকে License Center-এ ক্লিক করুন।
তারপর সঠিক ইমেইল এবং তথ্যসমূহ দিয়ে Register for free license key-তে ক্লিক করুন।এতে এখানে ব্যাবহারকৃত ইমেইলে লাইসেন্স কী-র একটি মেইল চলে যাবে।বুঝতে সমস্যা হলে নিচের ছবিতে দেখুন।
এবার লাইসেন্স কী-র জন্য আপনার ইমেইল আইডির মেইল-এ চেক করুন।আশা করি মেইল পেয়ে গেছেন।নিচের ছবিতে দেখুন আমি যেই মেইলটি পেলাম।
এবার
মেইলে পাওয়া লাইসেন্স কী-টি কপি বা পিসিতে সংগ্রহিত করে রাখুন।কারন
পরবর্তীতে এই লাইসেন্স কী আমাদের সফটওয়্যার রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে
কাজে লাগবে।
লাইসেন্স কী-র কাজ শেষ হলে,পিসিতে সফটওয়্যারটি রান করুন।সফটওয়্যারটি রান করার পর নিচের ছবির মত আসবে।
লাইসেন্স কী-র কাজ শেষ হলে,পিসিতে সফটওয়্যারটি রান করুন।সফটওয়্যারটি রান করার পর নিচের ছবির মত আসবে।
এবার Install avast!Free Antivirus-এ ক্লিক করুন।ক্লিক করার পর নিচের ছবির মত আসবে।
এখানে
তেমন কিছু পরিবর্তন করার দরকার নেই!নিচে আপনাকে গুগল ক্রোম পিসিতে ইন্সটল
করার জন্য সাজেস্ট করবে।এক্ষেত্রে আপনি যদি গুগল ক্রোম পিসিতে ইন্সটল করতে
চান তাহলে লাল মার্ক চিহ্নিত স্থানে কোনো কিছু পরিবর্তন করার দরকার নেই।আর
যদি, সফটওয়্যারটি ইন্সটল করতে না চান তাহলে লাল মার্ক চিহ্নিত স্থানে
অপশনগুলু আনমার্ক করুন।মনে রাখবেন,গুগল ক্রোম ইন্সটল করার জন্য পিসিতে নেট
এক্টিভেট থাকতে হবে।
এবার Next-এ
ক্লিক করে সফটওয়্যার ইন্সটল সম্পন্ন করুন।ইনস্টল করা শেষ হলে পিসিতে
সফটওয়্যারটি রান করুন।আমাদের সফটওয়্যারটি যেহেতু ৩০ দিনের জন্য ট্রায়াল
ভার্শন সেহেতু সফটওয়্যারটি ১ বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন করার জন্য Register-এ ক্লিক করুন।বুঝতে সমস্যা হলে নিচের ছবিতে দেখুন।
এবার নতুন উইন্ডো ওপেন হওয়ার পর একদম নিচে এসে Insert the license key-তে ক্লিক করুন।
তারপর সফটওয়্যারটির লাইসেন্স কী বসান।যেটা আমরা পূর্বে পেয়েছিলাম।নিচের ছবিতে দেখুন আমি আমার লাইসেন্স কী বসিয়েছি।
সঠিকভাবে লাইসেন্স কী বসানোর পর Ok-তে ক্লিক করলেই আপনার আভাষ্ট অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি ৩৭৫ দিন অর্থাৎ ১ বছরের জন্য ফ্রীতে রেজিস্টার্ড হয়ে যাবে।
১ বছরের মধ্যে আমরা অনেকেই নতুন করে উইন্ডোজ সেট-আপ দিয়ে ফেলি।তাই আপনি নিশ্চিন্তে ১ বছর এই সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন।
তাহলে
আজ এ পর্যন্তই।টিউনটি কেমন লাগল কমেন্টে জানাতে অবশ্যই ভুলবেন না।আশা
করি,বুঝতে কোনো সমস্যা হয় নি!তবুও কোনো সমস্যায় আমাকে ফেইসবুকে মেসেজ
দিতে পারেন ।আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব,আপনাদের সাহায্য করে,আপনার
সমস্যার সমাধান করতে ।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রিয় পাঠক, আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগায় তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত/মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।পোস্টটি পড়ার পর আপনার ভাল-লাগা,মন্দ-লাগা,জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আপনার একটি মন্তব্যই আমার নিকট অনেক মূল্যবান।আসসালামু আলাইকুম...