Translate

আপনি কি উড়োজাহাজ প্রেমী?তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য...

Aeroplane এর জগতে আপনাকে স্বাগতম । এটা আমার প্রথম টিউন । তাই আশা করি কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । এই টিউনটি শুধুমাত্র এরোপ্লেন প্রেমিদের জন্য ।
Aeroplane অনেকের কাছে একটা স্বপ্নের বস্তু । খুব কম মানুষই আছেন যারা Aeroplane এর শব্দ শোনলে আকাশের দিকে তাকান না ! আমরা কি জানি এই এরোপ্লেন এর মধ্যেও রয়েছে নানা ধরন । কোনটা Airbus , কোনটা  Boeing , আবারও রয়েছে ফাইটার প্লেন । আমি বিশেষ কিছু জানিনা । তবে আমার এ ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু সম্ভব আপনাদের সামনে তুলে ধরছি ।

বোয়িং 737
বোয়িং ৭০৭ হল বোয়িং কমার্শিয়াল এয়ারপ্লেন কোম্পানির দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট, দূরপাল্লার, সুপরিসর বিমান। এটি পৃথিবীর সববৃহৎ দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমান যা প্রকারভেদে ৫২৩৫ নটিক্যাল মাইল থেকে ৯৩৮০ নটিক্যাল মাইল পাল্লার মধ্যে ৩১৪ থেকে ৪১১ জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে সক্ষম। এই বিমানকে সচরাচর ট্রিপল সেভেন নামে ডাকা হয়।[২][৩] বোয়িং ৭০৭ এর ইঞ্জিন দুটি পৃথিবীর সমস্ত বিমানের ইঞ্জিনের চেয়ে বড়। এর প্রত্তেক ল্যান্ডিং গিয়ারে ছয়টি করে চাকা, গোলাকৃতি ফিউসেলাজ এবং কোনাকৃতির পেছনের লেজ রয়েছে। এই বিমানটির নকশা করার সময় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ আটটি বিমান পরিচালনা সংস্থার সাথে আলোচনা করা হয়েছিল এবং এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পুরাতন জামানার সুপরিসর বিমানগুলোকে প্রতিস্থাপিত করা। এই বিমানটিতেই সর্বপ্রথম ফ্লাই-বাই-ওয়্যার প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়েছে এবং এটিই সর্বপ্রথম বিমান যা সম্পূর্নরুপে কম্পিউটারের সাহায্যে নকশা করা হয়েছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ান যে এরোপ্লেনটি হারিয়ে গেছে এটি বোয়িং পরিবারের যার মডেল বোয়িং 777 ।


boeing বোয়িং ৭৭৭ এর জ্বালানী সাশ্রয়ীতার জন্য এটিই বোয়িং কোম্পানির সর্বাধিক বিক্রিত বিমান। এই বিমানটি বর্তমানে দূরপাল্লার সমস্ত পরিসেবায় ব্যাবহৃত হতে শুরু হয়েছে এবং অনেক এয়ারলাইন্স কোম্পানিই তাদের অন্যান্ন দূরপাল্লার সুপরিসর বিমানকে বাদ দিয়ে এই বিমানকে ব্যাবহারের পরিকল্পনা করছে।

এয়ারবাস A380
Swiss Airbus A
এয়ারবাস এ৩৮০ (ইংরেজি: Airbus A380) একটি দ্বিতল, সুপ্রশস্থ, চার ইঞ্জিন বিশিষ্ট বৃহৎ যাত্রীবাহী জেট বিমান যার নির্মাতা ইউরোপীয় ইএডিএস অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস। এটি বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী বিমান এবং বিশালাকায় এই বিমানের স্থানসংকুলানের জন্য বহু বিমানবন্দরকে তাদের সুবিধাদি সম্প্রসারণ করতে হয়েছে । বৃহদাকার বিমানের বাজারে বোয়িং এর একাধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতই এই বিমানের নকশা করা হয়েছে। এ ৩৮০ প্রথমবারের মত আকাশে ওড়ে ২০০৫ সালের ২৭শে এপ্রিল এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস এর মাধ্যমে ২০০৭ সালে প্রথম বানিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। এই বিমানটি প্রাথমিক নির্মানকালীন অনেকটা সময় এয়ারবাস A3XX নামে পরিচিত ছিল, পরবর্তীতে একে এ৩৮০ নামটি দেয়া হয়।
Airbus
ফাইটার প্লেন (মিগ-২১)
মিগ ২১ একটি যুদ্ধবিমান। মিকোয়ান ডিজাইন ব্যুরো মিগ ২১ বিমানের নকশা তৈরি করে। এর ন্যাটো কোডনেম ফিসবেড। মিগ ২১-এর জন্ম হয় সোভিয়েত ইউনিয়নে। মিগ ১৯, যা ছিল মূলত গ্রাউন্ড এট্যাক ফাইটার। ১৯৪৮ -৪৯ সালে সোভিয়েতরা মিগ-১৭, মিগ-১৯ এবং সুখোই ৭-এর সমন্বয়ে একটা সুপারসনিক ফাইটার বিমান তৈরির ডিজাইন সম্পন্ন করে। মিগ ২১-এর পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের পরে সোভিয়েতরা বুঝতে পারে যে ফাইটার অনুপাতে ইঞ্জিনের ক্ষমতা কম। তখন এই ঝামেলা সারিয়ে তৈরি করা হয় আরেকটি প্রটোটাইপ। এই প্রটোটাইপও ডানার ঝামেলার কারণে বিফল হয়। একই অবস্থায় পড়ে তাদের টেস্টিং প্রটোটাইপও। অবশেষে ১৬ জুন ১৯৫৫ সালে সর্বশেষ প্রটোটাইপ চূড়ান্তভাবে বানানোর অনুমতি পায়, এবং এই ফাইটার সার্ভিসে আসে ১৯৫৯ সালে। পরে সোভিয়েত রাশিয়ার বিমান বাহিনী বহরে এই বিমান যুক্ত করা হয়। ১৯৫৯ সালের আগে এটি নিয়ে মার্কিন মুল্লুক কিছুই জানতো না, কিন্তু ভিয়েতনাম যুদ্ধে তারা এটা সম্পর্কে জানতে পারে।Fghter
মিগ ২১ একটি সুপারসনিক ফাইটার। এটি আকাশ থেকে থেকে আকাশে, আকাশ থেকে মাটিতে সবদিকেই কার্যকরি। মিগ ২১-এর আছে শক্তিশালী ইঞ্জিন ও হালকা বডি। এছাড়া উন্নত ম্যানুয়েভার পাওয়ার এই ফাইটারকে অন্যসব ফাইটারগুলো থেকে আলাদা করে দিয়েছিল। কারগিলের যুদ্ধে ভারতীয় পাইলটরা মিগ ২১ ব্যবহার করেছিলেন। মিগ ২১-এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশ কম। এই বিমানের জন্য আলাদা শেড-এর দরকার হয় না। খোলা আকাশের নিচে এই বিমান ফেলে রাখা যায়।
———————————————————————————————————————————————
আজ এই পর্যন্তই । পরবর্তী পোষ্টে পাইপার জাতীয় ছোট প্লেন নিয়ে আলোচনা করব।
উড়োজাহাজ এর চমৎকার সব ছবি এবং বিবরন জানতে ঘুড়ে আসতে পারেন এই সাইটে
ফেসবুকে আমি


Share on Google Plus

About Unknown

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় পাঠক, আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগায় তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত/মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।পোস্টটি পড়ার পর আপনার ভাল-লাগা,মন্দ-লাগা,জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আপনার একটি মন্তব্যই আমার নিকট অনেক মূল্যবান।আসসালামু আলাইকুম...