সারাবিশ্বে সেক্স বিষয়টি স্পর্শকাতর বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। যদিও কোনো কোনো দেশে এই জৈবিক চাহিদাকে সহজ ভাবে নেয়া হয়েছে আবার কোনো কোনো দেশে নেয়া হয়েছে ঠিক তার উল্টো। সেক্স নিয়ে যাতে বাড়াবাড়ি না হয় সে জন্য কঠোর আইন প্রণয়নও করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশে। তাছাড়া ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও এই জৈবিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আলাদা আলাদা বিধি-নিষেধ জারী করা হয়েছে। বিশ্বের এমনই কয়েকটি দেশের অদ্ভুত যৌন আইন তুলে ধরা হলোঃ
১. যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য নয় কিন্তু তার অধীনে, প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্হিত এমন একটি দ্বীপের নাম গুয়াম। এই গুয়াম দ্বীপটির আইন অনুযায়ী কুমারী মেয়েদের বিয়ে নিষিদ্ধ। সেখানে কোনো কুমারী মেয়ে বিয়ের পিড়িতে বসতে চাইলে আইনুযায়ী অবশ্যই তাকে কুমারীত্ব বিসর্জন দেয়ার জন্য কোনো পুরুষের কাছে যেতে হয়। এখানে এমন পেশাদার পুরুষ পাওয়া যায় যারা কুমারী মেয়েদের কুমারীত্ব নাশ করার বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করে থাকে।
২. যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের আইন অনুযায়ী কুমারী মেয়েদের সাথে সহবাস নিষিদ্ধ। এমনকি বিয়ের পর বাসর রাতেও স্বামী তার কুমারী বধূর সাথে সহবাস করতে পারবে না। তবে কুমারী মেয়ে কিভাবে তার কুমারীত্ব বিসর্জন দিবে এ বিষয়ে কোনো আইনী ব্যাখ্যা দেয়া হয় নাই যেমনটি দেয়া হয়েছে গুয়ামের কুমারী মেয়েদের বেলায়।
৩. লেবাননের পুরুষদের গৃহপালিত প্রাণীর সাথে যৌনসর্ম্পক সৃষ্টি করতে আইনগত কোনো বাধা নাই। তবে শর্ত হচ্ছে যে প্রাণীর সাথে যৌন সর্ম্পক সৃষ্টি করবে সেটি অবস্যই মাদী প্রজাতির হতে হবে অন্যথায় আইনভঙ্গের কারণে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হতে পারে।
৪. মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে মেষ বা ভেড়ার সাথে যৌনসর্ম্পক স্থাপন করাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। তবে যে ভেড়ার সাথে যৌন সর্ম্পক স্থাপন করা হবে কোনো অবস্থায় তার গোস্ত খাওয়া চলবে না। এই বিষয়ে ফতোয়ায় বলা হয়েছে “ভেড়ার সাথে যৌনাচারের পর তার গোস্তু ভোজন করা হবে মারাত্মক গুনাহ “।
৫. বাহরাইনের আইনে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞগণ স্ত্রীলোকদের যৌনাঙ্গ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবে। কিন্তু উত্তেজনার বশে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে সে জন্য আইন প্রণেতাগণ ডাক্তাদের সরাসরি যৌনাঙ্গ দেখা নিষিদ্ধ করে দিয়ে সে ক্ষেত্রে আয়না ব্যবহার করে প্রতিবিম্বের মাধ্যমে রোগীর যৌনাঙ্গ দেখা ও পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে।
৬. ইসলাম ধর্মে মৃত ব্যক্তির জননেন্দ্রিয় দেখা নিষেধ। এমনকি যারা মৃত ব্যাক্তির গোসল ও দাফন কার্যে অংশ নিবে তাদের বেলায়ও একই শর্ত থাকবে। আর এই কারণে গোসল দেয়ার সময় লাশের জননেন্দ্রিয় এর উপর ইটের টুকরা কিংবা কাঠের টুকরা রেখে গোসল দেয়া হয়।
৭. কলম্বিয়ার কালী অঞ্চলের আইনে মেয়েদের বিয়ের পর স্বামীর সাথে তার বাসর রাত মায়ের উপস্হিতিতেই যাপন করতে হয়। একই ধরণের আইন কেনিয়াতেও পালন করা হয়।
৮. যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বৈদুতিক বাতি জ্বালিয়ে সহবাস করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
৯. যুক্তরাষ্ট্রের উতাহ রাজ্যে এম্বুলেন্সের ভিতর মেয়েদের যৌন সঙ্গম করা নিষিদ্ধ। যদি কোনো মেয়ে এ কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে বা প্রমানিত হয় তাহলে আইন অনুযায়ী সেই মেয়ের ছবিসহ সকল কুকীর্তি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পক্ষান্তরে পুরুষের বেলায় এমন কোন শাস্তি নেই।
১০. হংকং-এ যৌন বিষয়ে কোন ধর্মীয় বিধি-নিষেধ নেই। তবে কোনো স্ত্রী যদি মনে করে তার স্বামী তাকে প্রতারিত করেছে বা সে যদি প্রমান পায় তার স্বামী একজন ব্যভিচারী, তখন সে কেবল তার নিজ হস্তে তার স্বামীকে খুন করতে পারবে। পক্ষান্তরে একই অপরাধ যদি স্ত্রী করে থাকে তাহলে যে কোনো উপায়ে স্বামী তাকে খুন করতে পারবে।
১১. বলিভিয়ার সান্তাক্রুজ এর আইনে একই সময়ে মেয়ে এবং তার মায়ের সাথে পুরুষের যৌন সঙ্গম অবৈধ করা হয়েছে।
১২. যুক্তরাষ্টের আরিজোনা এবং উইসকনসিনে কাপড়ের ভেতর দিয়ে লিঙ্গ খাড়া অবস্হায় দৃষ্টিগোচর হয় এ ধরনের পোষাক পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
১৩. ইন্দোনেশিয়ায় হস্তমৈথুন করা একটি বিশাল অপরাধ এবং এই অপরাধ করার জন্য শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১৪. যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় মাছের সাথে পুরুষের যৌন সম্পর্ক করা অবৈধ।
১৫. সিঙ্গাপুরে ওরাল সেক্স সম্পূর্ণ অবৈধ যদি ওরাল সেক্সের পরে যোনীপথে সঙ্গম না হয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রিয় পাঠক, আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগায় তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত/মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।পোস্টটি পড়ার পর আপনার ভাল-লাগা,মন্দ-লাগা,জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আপনার একটি মন্তব্যই আমার নিকট অনেক মূল্যবান।আসসালামু আলাইকুম...