মধুর গুনের কথা কে না জানে। সেই প্রাচীনকাল থেকে কখনো বিভিন্ন রোগের পথ্য হিসেবে, কখনো সৌন্দর্য্যচর্চায় আবার কখনো ওজন কমাতে মধু অনেক উপকারী। আজকাল অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অথবা ডায়বেটিকস এর জন্য চিনি খেতে পারেন না। কিন্তু প্রতিদিন চিনির পরিবর্তে ১ চামুচ মধু শরীরের অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা থেকে সাহায্য করে। মধু শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে এর ওজন কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে দুই চামুচ মধু ও এক টুকরো লেবু চিপে খেলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কাটতে সাহায্য করে। এভাবে প্রতিদিন এক মাস খেলে আপনার শরীরের ৪ থেকে ৫ কেজি ওজন কমার সম্ভাবনা থাকে। মধুতে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা অনেক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া এই এন্টঅক্সিডেন্ট হৃদরোগ প্রতিরধে ও অনেক উপকারী। সম্প্রতি এক গবেষনায় দেখা গেছে মধু বিভিন্ন ধরনের ডিসর্ডার যেমন আলসার এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাসট্রি্কের সমস্যা দূর করতে অনেক উপকারী। নিউজিল্যান্ডের ওয়াইকাটো ইউনিভার্সিটির হানি রিসার্চের ডিরেক্টর পিটার মোলান বলেন, মধু এক ধরনের এন্টিব্যাক্টেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। কারন মৌমাছিরা মধু সংগ্রহের সময় এক ধরনের এনজাইম যোগ করে যা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড তৈরী করে। এর ফলে এটি শরীরের রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। মধু শরীরে গ্লাইকোজেন এর লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় উপাদানের চেয়ে এটিই সবচেয়ে উপকারী উপাদান যা শরীরের এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রাচীনকালে অলিম্পিকের দৌড়বিদেরা তাদের এনার্জি বেশীক্ষন ধরে রাখতে মধুকে একমাত্র ঔষধ হিসেবে ব্যাবহার করত। এই শীতে সবচেয়ে কমন একটা রোগ হচ্ছে গলা খুসখুস ও গলায় কফ জমে থাকা। মধু এই সমস্যা সমাধানে অনেক উপকারি। ২ চামুচ মধু আদার রস এর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে দ্রুত কফ পরিষ্কার হয়। ১১০ জন শিশুর উপর এক গবেষনায় দেখা গেছে ঠাণ্ডার সময় এক চামুচ মধু যেকোনো কফ সিরাপ এর চেয়ে তাড়াতাড়ি কাজ করতে সাহায্য করে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রিয় পাঠক, আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগায় তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত/মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।পোস্টটি পড়ার পর আপনার ভাল-লাগা,মন্দ-লাগা,জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আপনার একটি মন্তব্যই আমার নিকট অনেক মূল্যবান।আসসালামু আলাইকুম...