জেনে নিন মহানবী ( সাঃ ) এর ২১৩ টি মহা মূল্যবানবাণী(পর্ব:৩)
১৩১ . লজ্জা ঈমানের অংশ। [ মিশকাত ]
১৩২ . যখন সাহায্য চাইবে , আল্লাহর কাছে চেয়ো। [ মিশকাত ]
আল্লাহকে স্মরণ করা
১৩৩. যে তার প্রভুকে স্মরণ করে , আর যে করেনা , তাদের উদাহরণ হলো জীবিত ও মৃতের মতো। [ সহীহ মুসলিম ]
সত্য কথা
১৩৪. সত্য কথা বলো , যদিও তা তিক্ত । [ ইবনে হিব্বান ]
কর্মকৌশল
১৩৫. প্রচেষ্টার চেয়ে বড় কোনো যুক্তি নাই। [ ইবনে হিব্বান ]
নিন্দুক
১৩৬. কোনো নিন্দুক জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। [ বুখারী ]
রাগ
১৩৭. রাগে উত্তেজিত হলে চুপ করে থাকো। [ আদাবুল মুফরাদ ]
১৩৮.তোমাদের কেউ যখন উত্তেজিত হবে , সে যেনো অযু করে আসে। [ আবু দাউদ ]
অহংকার
১৩৯. যার মনে বিন্দু পরিমাণ অহংকার আছে , সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। [ সহীহ মুসলিম ]
সালাম
১৪০. তোমাদের মাঝে সালাম আদান প্রদানের ব্যাপক প্রচলন করো। [ সহীহ মুসলিম ]
১৪১. সবচেয়ে কৃপণ লোক সে , যে সালাম আদান প্রদানে কৃপণতা করে । [ তিবরানী ]
দয়া ও ভালোবাসা
১৪২. যারা পৃথিবীতে আছে তাদের দয়া করো , তাহলে যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাকে দয়া করবেন। [ মিশকাত ]
১৪৩. যে মানুষের প্রতি দয়া করেনা , আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেননা। [ সহীহ বুখারী ]
১৪৪. তোমরা মুমিন হবেনা যতোক্ষণ একে অপরকে ভালোবাসবেনা ।
শরীরের অধিকার
১৪৫. তোমরা উপর তোমার শরীরের অধিকার রয়েছে। [ সহীহ বুকারী ]
ব্যাখ্যা : শরীরের অধিকার হলো , শরীর সুস্থ রাখা ও বিশ্রাম নেয়া।
প্রতিবেশীর অধিকার
১৪৬. প্রতিবেশীর প্রতি সুন্দর সহানুভূতির আচরণ করো , তবেই মুমিন হবে। [ মিশকাত ]
১৪৭. সে মুমিন নয় , যে নিজে পেট পূরে খায় আর পাশেই তার প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে। [ বায়হাকী ]
প্রাচুর্য
১৪৮. মনের প্রাচুর্যই আসল প্রাচুর্য । [ সহীহ বুখারী ]
১৪৯. আল্লাহ তোমার ভাগে যা রেখেছেন , তাতে সন্তুষ্ট থাকো , তবেই হবে সবচেয়ে প্রাচুর্যশালী। [ মিশকাত ]
১৫০. যার উদ্দেশ্য হয় পরকাল লাভ করা , আল্লাহ তার অন্তরে প্রাচুর্য দান করেন। [ তিরমিযী ]
জান্নাত ও জাহান্নাম
১৫১. জান্নাত এতই আকর্ষণীয় যে, তার আকাংখীর চোখে ঘুম আসেনা। [ তিবরানী ]
১৫২. দোযখ এতোই ভয়াবহ যে , তার থকে পলায়নকারীর চেখে ঘুম আসেনা। [ তিবরানী ]
মনের মরিচিকা
১৫৩. মনের মধ্যে লোহার মতোই মরিচিকা পড়ে।। আর তা দূর করার উপায় হলো ক্ষমা প্রর্থনা করা । [ বায়হাকী ]
অধীনস্থ
১৫৪. অধীনস্থদের সাথে নিকৃষ্ট আচরণকরী জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। [ আহমদ]
মৃতদের গালি না দেয়া
১৫৫. মৃতদের গালি দিয়োনা।
উড়ো কথা প্রচার না করা
১৫৬. প্রতিটি শোনা কথা বলে বেড়ানোটাই মিথ্যাবাদী হবার জন্যে যথেষ্ট। [ সহীহ মুসলিম ]
মর্যাদা দান
১৫৭. মর্যাদা অনুযায়ী মানুষকে সমাদর করো। [ আবু দাউদ ]
সতর্কতা
১৫৮. মুমিন এক পাথরে দুইবার হোঁচট খায়না। [ সহীহ বুখারী ]
অট্টহাসি
১৫৯ অধিক হাসাহাসি অন্তরকে মেরে ফেলে । [ তিবরানী ]
সন্তান
১৬০. তোমাদের সন্তানদের মর্যাদা দান করো এবং তাদের সুন্দর আচার ব্যবহার শিখাও। [ ইবনে হিব্বান ]
শক্তিমান কে ?
১৬১. শক্তিশালী সে , যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। [ সহীহ মুসলিম ]
অধঃপতন
১৬২. যার কর্ম তাকে ডুবায় , তার বংশ তাকে উঠাতে পারেনা। [ সহীহ মুসলিম ]
শাসক হবে তেমন
১৬৩. তোমরা হবে যেমন , তোমাদের শাসকও হবে তেমন। [ মিশকাত ]
অপরের দোষ
১৬৪. যে ব্যক্তি একজন মুসলমানের দোষ গোপন করবে , আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন। [ সহীহ মুসলিম ]
আল্লাহর বিধান পালন
১৬৫. হারাম থেকে বেঁচে থাকো , আল্লাহ তোমাকে হিফাযত করবেন। [ তিরমিযী ]
সৌভাগ্য
১৬৭. আল্লাহর সিদ্ধান্ত সন্তুষ্ট থাকতে পারা আদম সন্তানের একটি সৌভাগ্য । [ তিরমিযী ]
কি নিয়ে উঠবে ?
১৬৮. প্রতিটি বান্দা কিয়ামতে তাই নিয়ে উঠবে , যা নিয়ে সে মরেছে । [ সহীহ মুসলিম ]
নেতা
১৬৯. নেতা হবে মানুষের সেবক। [ দায়লমী ]
১৭০. তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককেই তার দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
১৭১. মানুষের অবস্থা উটের মতো , একশটি উটের মধ্যে ও একটি ভালো সোয়ারী পাওয়া যায়না। [ সহীহ মুসলিম ]
জামাতবদ্ধতা
১৭২. জামাদের প্রতি আল্লাহর রহমত থাকে । যে জামাত ত্যাগ করে , সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়। [ তিরমিযী ]
মতভেদ
১৭৩. মতভেদ কারোনা। তোমাদের পূর্বে যারা মতভেদ করেছিল , তারা ধ্বংস হয়েছে। [ সহীহ বুখারী ]
আল্লাহর প্রিয় ব্যক্তি
১৭৪. গোটা সৃষ্টি আল্লাহর পরিবার। যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবারের জন্যে বেশী উপকারী , সে তাঁর কাছে বেশী প্রিয়। [ সহীহ মুসলিম ]
রসূলুল্লাহ সাঃ
১৭৫. আমি রসূলুল্লাহ (সা) চাইতে অধিক সুন্দর কোনো কিছু দেখিনি। [ আবু হুরাইরা রা. তিরমিযী ]
১৭৬. আমি কাউকেও রসূলুল্লাহর (সা) চাইতে দ্রুত চলতে দেখিনি। [ আবু হুরাইরা রাঃ তিরমিযী ]
১৭৭. রসূলুল্লাহ (সাঃ) কাছে কিছু চাওয়া হয়েছে আর তিনি ‘ না’ বলেছেন , এমন কখনো হয়নি। [ জাবির : সহীহ বুখারী ]
১৭৮. রসূলুল্লাহ (সাঃ) রোগীর সেবা করতেন এবং কফিনের সাথে যেতেন। [ আনাস রাঃ ইবনে মাজাহ ]
১৭৯. রসূলুল্লাহ (সা) দীর্ঘ সময় চুপ থাকতেন । [ জাবির বিন সামু রাঃ শরহে সুন্নাহ ]
১৮০. রসূলুল্লাহ (সা) যখন কথা বলতেন , তখন কেউ ইচ্ছে করলে তাঁর বক্তব্যের শব্দ সংখ্যা গুণে নিতে পারতো । [ আয়েশা রাঃ সহীহ বুখারী ]
১৮১. রসূলুল্লাহ (সা) কথা বলতেন থেমে থেমে স্পষ্ট করে । [ জাবির রাঃ আবু দাউদ ]
১৮২. রসূলুল্লাহ (সা) সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করলে বিনিময়ে তিনি খারাপ ব্যবহার করতেন না , বরং ক্ষমা করে দিতেন এবং উপেক্ষা করতেন। [ আয়েশা রাঃ তিরমিযী ]
১৮৩. আমি প্রেরিত হয়েছি রহমত হিসেবে। [ সহীহ মুসলিম ]
১৮৪. সুখবর তার জন্যে , যে আমাকে দেখেছে। সাতবার সুখবর ঐ ব্যক্তির জন্যে যে আমাকে দেখেনি , অথচ আমার প্রতি ঈমান এনেছে। [ আহমদ ]
সাহাবায়ে কিরাম
১৮৫ . আমার উম্মতের উত্তম লোক হলো আমার সময়ের লোকেরা । [ সহীহ বুখারী ]
১৮৬. আমার সাহাবীদের সম্মান দান করো , কারণ তারা তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। [ মিশকাত ]
১৮৭. আমার সাহাবীদের গালি দিওনা। [ সহীহ বুখারী ]
আবু বকর রাঃ
১৮৮. আমি যদি আমার প্রভুকে ছাড়া আর কাউকেও বন্ধু বানাতাম , তবে অবশ্যি আবু বকরকে বন্ধু বানাতাম । [ সহীহ বুখারী ]
১৮৯. হে আবু বকর! (পর্বত) গুহায় তুমি আমার সাথী ছিলে , হাউজে কাউসারেও তুমি আমার সাথী থাকবে। [ তিরমিযী ]
১৯০ . নিজের সাথীত্ব ও অর্থ দিয়ে আমাকে সকলের চেয়ে অধিক সহযোগিতা করেছে আবু বকর। [ সহীহ বুখারী ]
১৯১. হে আবু বকর ! আমার উম্মতের মধ্যে তুমিই সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে। [ আবু দাউদ ]
উমর রাঃ
১৯২. আল্লাহ উমরের যবান ও অন্তরে সত্য সন্নিবেশ করে দিয়েছেন ।[ তিরমিযী ]
১৯৩. আমার পরে যদি কেউ নবী হতো , তবে অবশ্যি উপর বিন খাত্তাব হতো। [ তিরমিযী ]
শ্রেষ্ঠ নারী
১৯৪.পৃথিবীর সর্বোত্তম নারী ইমরানের কন্যা মরিয়ম আর খুয়াইলিদের কন্যা খাদীজা। [ সহীহ বুখারী ] নোট : মরিয়ম ছিলেন হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের মা , আর খাদীজা ছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী ।
দু’ আর নিয়ম ও গুরুত্ব
১৯৫.যখন কিছু প্রার্থনা করবে , আল্লাহর কাছে করবে । [ মিশকাত ]
১০৬.দু’আ ইবাদত । [ তিরমিযী ]
১৯৭. দু’আ ইবাদতের মস্তিস্ক। [ তিরমিযী ]
১৯৮. আল্লাহর কাছে তাঁর অনগ্রহ চাও। তাঁর কাছে প্রার্থনা করাকে আল্লাহ খুবই পছন্দ করেন। [তিরমিযী ]
১৯৯. যে আল্লাহর কাছে চায়না , আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হন। [ তিরমিযী ]
২০০. আমি আল্লাহর কাছে দিন একশ ’ বার ক্ষমা প্রার্থনা করি। [ সহীহ মুসলিম ]
তাওবা
২০১. বান্দাহ যখন অপরাধ স্বীকার করে এবং তাওবা করে , তখন আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন। [ সহীহ বুখারী ]
ব্যাখ্যা : তাওবা মানে ফিরে আসা। তাওবা করার অর্থ – অন্যায় , অপরাধ ও ভুল হয়ে গেলে তা স্বীকার করে সে জন্যে অনুশোচনা করা ও তা থেকে, ফিরে আসা এবং এমন কাজ আর কখনো না করার সিদ্ধান্ত নেয়া।
২০২. সব আদম সন্তানই ভুল করে । তবে এদের মধ্যে উত্তম হলো তারা যারা ভুলের জন্যে তাওবা করে। [ তিরমিযী ]
রসূলুল্লাহর কতিপয় দু’আ
২০৩. হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে পানাহ চাই দুশ্চিন্তা থেকে , মনোকষ্ট থেকে , বার্ধক্য থেকে , আলস্য ও কাপুরুষতা থেকে এবং কৃপণতা ও ঋণের বোঝা থেকে । [ সহীহ বুখারী ]
২০৪.হে আল্লাহ ! আমার অন্তরে আল্লাহভীতি দাও এবং তাকে পরিশুদ্ধ করো। তুমিই তো তার উত্তম পরিশুদ্ধকারী । [ সহীহ মুসলিম ]
২০৫. ওগো আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে এমন জ্ঞান থেকে পানাহ চাই যাতে কোনো কল্যাণ নেই । আর এমন হৃদয় থেকেও আশ্রয় চাই যাতে তোমার ভয় নেই। [ আহমদ ]
২০৬. আয় আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে পানাহ চাই সংশয় থেকে , কপটতা থেকে আর অসৎ চরিত্র থেকে। [ নাসায়ী ]
২০৭. হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে চাই হিদায়াত , আল্লাহভীতি , পবিত্র জীবন এবং প্রাচুর্য । [ সহীহ মুসলিম ]
২০৮. ওগো আল্লাহ ! আমাকে ক্ষমা করে দাও , আমার প্রতি দয়া করো , আমাকে সঠিক পথ দেখাও , আমাকে স্বস্তি দান করো এবং আমাকে জীবিকা দাও। [ সহীহ মুসলিম ]
২০৯. আমার আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে কল্যাণময় জ্ঞান , গ্রহণযোগ্য আমল আর পবিত্র জীবিকা । [ আহমদ]
২১০. ওগো আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি সুস্থতা , স্বস্তি , বিশ্বস্ততা , উত্তম চরিত্র আর তাকদীরের প্রতি সন্তুষ্টি। [ বায়হাকী ]
২১১. আমার আল্লাহ ! আমি তোমার ভালোবাসা চাই , আর যে তোমাকে ভালোবাসে তার ভালোবাসা চাই। [ তিরমিযী ]
জীবন পথের আলো
২১২. আবু যর (রা) বলেন : আমি নিবেদন করলাম,ওগো আল্লাহ রসূল আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি আল্লাহকে ভয় করবার। কারণ এটাই তোমার সমস্ত কাজকে সৌন্দর্য দান করবে।
আমি বললাম , আমাকে আরো উপদেশ দিন।
তিনি বললেন : কুরআন পাঠ এবং আল্লাহর স্মরণ ও তাঁর বিষয়ে আলোচনাকে নিজের কর্তব্য কাজ বানিয়ে নাও। এতে আকাশে তোমায় নিয়ে আলোচনা হবে আর এটা পৃথিবীতে তোমার পথের আলো হবে।
আমি বললাম , আমাকে আরো উপদেশ দিন।
তিনি বললেন : বেশী সময় নীরব থাকবে , কম কথা বলবে। এটা শয়তানকে তাড়াবার হাতিয়ার হবে এবং তোমার দীনের কাজের সহায়ক হবে।
আমি আরয করলাম , আমাকে আরো আদেশ দিন।
তিনি বললেন তিক্ত হলেও সত্য কথা বলবে।
আমি নিবেদন করলাম , আমাকে আরো উপদেশ দিন।
তিনি বললেন : ইসলামী আন্দোলন ( জিহাদ ) করাকে নিজের কর্তব্য বানিয়ে নাও। কারণ এটাই মুসলমানদের বৈরাগ্য।
আমি বললাম , আমাকে আরো কিছু বলুন ।
তিনি বললেন : দরিদ্র লোকদের ভালোবাসবে এবং তাদের সাথে উঠাবসা করবে।
আমি বললাম , আমাকে আরো উপদেশ দিন।
তিনি বললেন : তোমার নিজের মধ্যে যেসব দোষ ত্রুটি আছে , সেগুলোর দিকে তাকাও । অন্যের মধ্যে যে দোষ ত্রুটি আছে তা খুজে বেড়ানো এবং বলে বেড়ানো থেকে বিরত থাকো।
অতপর তিনি আমার বুকে হাত মেরে বললেন , আবু যর ! কর্মকৌশল ও কর্মপ্রচেষ্টার চাইতে বড় বুদ্ধিমত্তা আর নেই। হারাম ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকার চেয়ে বড় বীরত্ব কিছু নেই। আর সুন্দর ব্যবহারের চাইতে বড় কোনো ভদ্রতা নেই। [ ইবনে হিব্বান ]
সঠিক পথে চলো
২১৩. আমার প্রভু আমাকে নয়টি নির্দেশ দিয়েছেন। সেগুলো হলো :
১. গোপনে ও প্রকাশ্যে আল্লাহকে ভয় করতে ,
২. সন্তুষ্টি এবং অসন্তুষ্টি উভয় অবস্থাতে ন্যায় কথা বলতে ,
৩. দারিদ্র ও প্রাচুর্য উভয় অবস্থাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে ,
৪. যে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে , তার সাথে সম্পর্ক জুড়তে,
৫. যে আমাকে বঞ্চিত করে , তাকে দান করতে ,
৬. যে আমার প্রতি অবিচার করে , তাকে ক্ষমা করে দিতে ,
৭. আমার নীরবতা যেনো চিন্তা গবেষণায় কাটে ,
৮. আমার কথাবার্তা যেনো হয় উপদেশমূলক ,
৯. আমার প্রতিটি দৃষ্টি যেনো হয় শিক্ষা গ্রহণকারী ।
এ ছাড়া ও আমার প্রভু আমাকে আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন, সেগুলো হলো :
১. আমি যেনো ভালো কাজের আদেশ করি এবং
২. মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করি। ( সহীহ বুখারী )
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রিয় পাঠক, আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগায় তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত/মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।পোস্টটি পড়ার পর আপনার ভাল-লাগা,মন্দ-লাগা,জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আপনার একটি মন্তব্যই আমার নিকট অনেক মূল্যবান।আসসালামু আলাইকুম...