Translate

বাজারে ডিমের ভেজাল চলছে :p তাই আসল নকল ডিম চিনে নিন!!

বর্তমান প্রেক্ষিতে যে দিকেই তাকাচ্ছি সেইদিকেই ভেজালের সমারোহ। বিভিন্ন মিডিয়া ও সংবাদপত্রে প্রতিনিয়তই এই বিষয়ে প্রতিবেদন দৃষ্টি গোচড় হচ্ছে। বিশেষ করে খাদ্য তালিকাতে ভেজালের সমারোহটা বেশী এবং অনেকটা স্পর্শকাতর বিষয়। যেমন- সকলেই জানি খাদ্য ও ফলমূলে ফরমালিনের ব্যবহার কিংবা রং এর ব্যবহার, হোটেল বা রেস্তরার বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীতে পোড়া তৈল বা মবিলের ব্যবহার। বেশ কিছুদিন ধরে সরগম শুনেছিলাম এবং পত্রিকাতে পাবলিশ হয়েছিল- ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে মরা মূরগী সরবরাহ করা হত এবং ডিবি টিম একটি চক্রকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে কৃষি আবাদ বলতে চান সেটিতেও ভেজাল চলছে যেমন- বেশী পরিমাণে ইউরিয়া ব্যবহার করা হচ্ছে, দ্রুত ফসল পাকাতে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে …..ইত্যাদি …..ইত্যাদি।
সেই প্রেক্ষিত এবার একটি নতুন খবর পড়লাম। বর্তমানে বাজারে ডিমেও ভেজাল চলছে। হ্যা ভেজালের খবর পূর্বে শুনেছিলাম যে, মাঝেমধ্য কচ্ছপের ডিম আসল ডিম বলে অসাধূ ব্যবসায়ীরা চালিয়ে দিত। এমনিতে ডিমে ভেজাল, তার উপর ডিমের হালি বর্তমানে ৪০ টাকা। কোন খানের আমলে বাস করছি কে জানে!! কিন্তু গতকালকের একটি সাইটের পোস্ট পড়ে নিজে চমকে উঠার মত সেখানে দেখলাম- বর্তমানে কৃত্রিম ডিম সাধু ব্যবসায়ীরা তৈরি করে আসল ডিম বলে চালিয়ে দিচ্ছেন! বিষয়টি আমার জানা ছিলনা ও বিশ্বাস হচ্ছিলো না। কিন্তু প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ার পর ধারনা সত্যি হল।
সম্মানীত ভিজিটর আপনারাই হয়ত আমার মত ভাবছেন! কৃত্রিমভাবে ডিম প্রস্তুত হয় নাকি? হ্যা সেটি সম্ভব!! তাহলে নিম্নের প্রতিবেদনটি পড়ুন-
প্রতিবেদন পড়ার পূর্বে একটি কথা বলতে চাচ্ছি- নিম্নরুপ প্রতিবেদনটি কিন্তু আমার/আমাদের টীমের লেখা নই। এটি অন্য একটি সাইট হতে কপি করা হয়েছে। পিসি হেল্প লাইনে কপি করা ব্লগ বিরোধী কাজ সেটি নিজেও জানি। কিন্তু গতকালকে নিজের অগোচরে একটি ব্লগ সাইটে প্রবেশ করি এবং সেখানে উক্ত প্রতিবেদনটি দেখতে পাই। ঝটপট পড়ে ফেলি, খুবই ভাল লাগলো। এবার ভাবলাম নিজে পড়ে তো সচেনতা হিসাবে জানতে পারলাম কিন্তু অন্যকেও জানাতে দোষটা কোথায়? যদি অনেকের উপকারে আসে। তাছাড়া বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণও বটে!
এই প্রতিবেদনটির মূল লেখিকা- “সাবরিনা সূখী, তিনি শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজিতে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টি টেকনোলজিতে ৩য় বর্ষে পড়ছেন।। তার এই প্রতিবেদনটি টেকব্লগ সাইট হতে নেওয়া হয়েছে”
অনেক বকবক করা হল। এবার মূল লেখিকার প্রতিপাদ্য আলোচনা হতে ভিজিট করে আসি-
আপনারা অনেকেই হয়ত শুনেছেন নকল ডিমের কথা, অনেকেই হয়ত শুনেননি। প্রথমেই আসি নকল ডিম কি? নকল ডিম হলো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে মানুষের তৈরীকৃত ডিম যা দেখতে আসল ডিমের মতই। চায়নায় এগুলো ডিমের পরিপূরক হিসেবে তৈরী করা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।আরো কিছু দেশে এই নকল ডিমগুলো আসল ডিমের সাথে মিশে বাজারে বিক্রি হচ্ছে , আমরাও এই আশংকার বাইরে না । তাই সচেতন হতে হবে সবাইকেই।

নকল ডিম তৈরির উপাদানঃ

নকল ডিম তৈরী করা হয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, রেজিন,এলাম, জিলাটিন, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, কালারিং ডাই ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে। ডিমের খোলস তৈরী করা হয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, সাদা অংশ তৈরী করা হয় রেজিন,এলাম, জিলাটিন ,ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড  এবং কুসুম তৈরীতে কালারিং ডাই ব্যবহার করা হয়।
আসল নকল ডিম কিভাবে চিনে নিবেনঃ
১.নকল ডিম আসল ডিমের চেয়ে বড় ও খোলস অমসৃন হয় । তাই বড় ডিম দেখে খুশী হবেননা।
২. নকল ডিমের কুসুমের রং গাঢ় হয়।
৩. যখন নকল ডমি ভাঙ্গা হয় তখন কুসুম দ্রুত ছড়িয়ে যায় এবং সাদা অংশরে সাথে মিশে যায়।
৪. নকল ডিম ভাজলে কুসুম ও সাদা অংশ পার্থক্য করা যায় না, সিদ্ধ করলেও অস্বাভাবিক দেখা যায়।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
১.নকল ডিমে ব্যবহারকৃত ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড লিভারের এবং বেনজয়িক এসিড ব্রেইনের স্নায়ুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
২. খোলস ছাড়া কৃত্রিম ডিম দেখতে কেমন নিচের ছবিতে দেখে নিন।
৩. সোনার ডিমের কথা আমরা গল্পে অনেক পড়েছি, যদিও সোনার ডিম দেয়া হাঁস/ মুরগী নেই কিন্তু সোনার ডিম আছে।
আশা করি পোস্টটি পড়ে জানা বিষয় সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্যাদি জানতে পারলেন। এবং নিজেকে সচেনতা হিসাবে রাখতে চেষ্টা করবেন। এখানে শুধু উপরোক্ত বিষয়টি নিজে জানলেও হবে না,অপরকে জানানোর সুযোগ দিতে হবে। আরেকটি কথা এই পোস্টটির মূল লেখিকাকে ধন্যবাদ দিতে ভূলবেন না যেন! কারন তিনি যদি এই পোস্টটি না করতেন তাহলে নিজেও জানতে পারতাম না এবং আপনাদেরকেও জানাতে পারতাম না।

পোস্ট টি লিখেছেন মরিয়ম বেগাম, ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ

Share on Google Plus

About Unknown

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় পাঠক, আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগায় তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত/মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।পোস্টটি পড়ার পর আপনার ভাল-লাগা,মন্দ-লাগা,জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আপনার একটি মন্তব্যই আমার নিকট অনেক মূল্যবান।আসসালামু আলাইকুম...