যেকোন দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য অভ্যন্তরীন বাহিনী যেমন সেনা,নৌ ও
বিমান বাহিনী এবং সেইসব বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন আধুনিক
যুদ্ধযান এবং সরঞ্জাম থাকা আবশ্যক।বড় অর্থনৈতিক দেশসমুহ নিয়মিত
প্রতিযোগিতা করে তাদের এ ভান্ডার বেড়েই চলেছে।আকাশ নিরাপত্তার জন্য বানানো
হচ্ছে নতুন অত্যাধুনিক সব সুপারসনিক যুদ্ধবিমান। আজ আমরা সেই
যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে সেরা দশটি সম্পর্কে কিছু জানব এবং প্রাপ্তিসাপেক্ষে
পাইলট ককপিটের ছবি দেখব।
১০ . J-10
অধিক
পরিচিত ” Vigorous Dragon” হিসেবেই । Jian-10 সব-আবহাওয়ায় ব্যবহৃত জঙ্গী
বিমান , এটি ডিজাইন করে চেংদু বিমান শিল্প কর্পোরেশন চীনের পিপলস লিবারেশন
আর্মি এয়ার ফোর্সের (PLAAF) জন্যে । ভিতরের পোর্টের দিকে দুইটি ব্যারেল
কামান যুক্ত করা হয়েছে যেখানে বাইরের ১১ টি পয়েন্ট কমপক্ষে ৬০০০ কেজি
অস্ত্রসম্ভার বহন করতে পারে ।
৯ . MiG-35 :
মিগ-35
জেট জঙ্গী বিমানটি 4+ জেনারেশনের অন্তর্ভুক্ত , স্বতন্ত্র কল্পিত
অপটিক্যাল লোকেটর সিস্টেমের (OLS) কারনে এটি পরিচিত , যা বিমানটিকে বিভিন্ন
মিশনে গেলে গ্রাউন্ড থেকেই কন্ট্রোল করা যায় । প্রত্যেক পাখায় Laser
Emission Detector (LED) থাকে যা বিপদের আগে এটিকে সতর্ক করে দেয় এবং
ইনফ্রারেড রেঞ্জের মধ্যে যেতে বাধা দেয় ।
৮. T-50 Golden Eagle:
কোরিয়া
অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি কতৃক নির্মিত, T-50 Golden Eagle বিশ্বের
কয়েকটি সুপারসনিক অ্যাডভান্স ট্রেইনার এক মধ্যে ধরা হয় । A-50 20 মিমি এর
একটি কামান ককপিটের পিছনে স্থাপন করা থাকে যা ২০৫ রাউন্ড গোলাবারুত রাখতে
সক্ষম । এই বিমানটি ইলেকট্রনিক যুদ্ধে খুবই ক্ষমতা সম্পন্ন হিসেবে পরিচিত ।
৭ . F-16 Fighting Falcon:
F-16
কে বলা হয় viper (বিষাক্ত সাপ ) , এই জঙ্গী বিমানের সবচে বড় বৈশিষ্ট্য
হচ্ছে এটি গতিতে সমতা রাখতে পারে । পাইলটের সিটটি ৩০ ডিগ্রী পর্যন্ত পিছনে
বেকে যায় যদি অভিকর্ষজ বল কোন সমস্যার সৃষ্টি করে ।
৬ . Rafale:
মারাত্মক
ক্ষমতা সম্পন্ন বিমানটি আকাশে পাল্লা দিয়ে যুদ্ধ করতে অতুলনীয় । রাফালে
ফরাসি একটি সামরিক এবং ব্যবসা জেট বিমানের নির্মাতা দেসাল্ট এভিয়েশনের
একটি পণ্য । এটি SPECTRA নামক একটি ইলেক্ট্রনিক সিস্টেম সাপোর্ট করে যা নিচ
থেকে আসা সব হুমকির অ্যালার্ট দেয় ।
৫ . JAS 39 Gripen:
JAS
39 Gripen একটি হালকা ওজনের জঙ্গী বিমান যার ৮ টি হার্ড পয়েন্টে বিভিন্ন
মিসাইল ও বোমা বহন করতে পারে । এটি বেশি পরিচিত এর ডেল্টা পাখার কারনে যা
খুব সচেতনতার সাথে বিমানটিকে চালনা করে । এই জঙ্গী বিমান একটি অত্যাধুনিক
PS-05 / পালস-ডপলার এক্স ব্যান্ড রাডার সাপোর্ট করে যা ১২০ কিমি দূরের
বস্তুকে পর্যবেক্ষণ ও চিহ্নিত করতে পারে ।
৪. Eurofighter Typhoon:
গ্রেট
ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন এবং জার্মানি এই চারটি দেশের কোম্পানীর একটি
সিন্ডিকেট ডিজাইন ও নির্মান করেছে । এই বিমানটি অনেক যুদ্ধে জয়ী হয়েছে ।
Eurofighter টাইফুন একটি অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা সিস্টেম সাপোর্ট করে
“Praetorian” নামে আকাশের সব হুমকি এমনকি একই সাথে আকাশে থেকেও নিচের সব
হুমকির সাড়া দিতে পারে ।
৩ . Su-27:
অধিক
পরিচিত “রাশিয়ান উড়ন্ত দানব” হিসেবেই Sukhoi su-27 একটি জেট বিমান যা
3530 কিমি দূরের কোন কিছুকে নিমিষেই মুছে ফেলতে সক্ষম । এটি যুদ্ধে আকাশে
শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করে আর চতুর্থ জেনারেশনের বিমানের তালিকার প্রথম দিকেই
থাকে এটি ।
২ . F/A-18 Hornet:
চমৎকার
অ্যারোডাইনামিক বৈশিষ্ট্য এবং অনেক দিক থেকে আক্রমণ ক্ষমতা সম্পন্ন , এই
মাল্টি মিশন যুদ্ধকৌশলসংক্রান্ত বিমানটি হল মার্কিন মর্যাদার প্রাণ । এই
দ্রুত আর ভয়ঙ্কর সব যুদ্ধে বিমানটিকে পাইলটরা খুব সহজেই ঘুরাতে পারে ।
১ . F-22 Raptor:
পৃথিবীর
সবচে বিপদজনক জঙ্গী বিমান এটি মার্কিন বিমান বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন
বিমান বলা যায় F-22 Raptor কে । একটি পঞ্চম প্রজন্মের জঙ্গী বিমান । এটি
দ্রুততর , নিমিষেই গলিয়ে দিতে পারে সবকিছু । প্রাণঘাতী আক্রমনের জন্যেই
এটি সমাদৃত আমেরিকান বিমান বাহিনীর নিকট ।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রিয় পাঠক, আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগায় তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত/মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।পোস্টটি পড়ার পর আপনার ভাল-লাগা,মন্দ-লাগা,জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আপনার একটি মন্তব্যই আমার নিকট অনেক মূল্যবান।আসসালামু আলাইকুম...