ব্লগে
লিখতে গিয়ে অনলাইনে থাকা খুব একটা জরুরী না। আমরা চাইলে অফলাইনে বসেই
ব্লগপোস্ট লিখতে পারি বিভিন্ন সহজলভ্য সফটওয়্যার ব্যবহার করে। পরে এক
ক্লিকে সব লেখা, ছবি কিংবা ভিডিও কাংখিত ব্লগ কিংবা ব্লগ সমূহে পোস্ট করতে
পারি।
এ সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই (http://windows.microsoft.com/en-us/windows-live/essentials) লিংকে ভিজিট করুন, উপরের ছবির ন্যায় একটি ওয়েব পেইজ আসবে। এখান থেকে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে Windows Live Essentials সফটওয়্যার স্যুটটি ডাউনলোড ও ইন্সটল করে নিন। সফটওয়্যার স্যুটটি ডাউনলোড হতে বেশ কিছুক্ষণ সময় নিবে। এসময় অন্যকোন কাজ সেরে নিতে পারেন। ডাউনলোড সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হলে আমার আগের পোস্টটি (http://asadulhoque.tk/computer/1773.html) পড়তে পারেন।
ইন্সটল শেষে সফটওয়্যারটি স্টার্ট মেনু থেকে ওপেন করুন।
Next বাটনে চাপুন। এরপর আপনাকে জানতে চাইবে Which blog service do you use? নতুন কোন ব্লগ তৈরি করতে Create a new blog সিলেক্ট করুন অথবা Existing ব্লগের জন্য WordPress, Blogger ইত্যাদি প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে সংশ্লিষ্ট টাইপ সিলেক্ট করে Next করুন। এক্ষেত্রে আমি আমার ওয়েব-সাইট http://asadulhoque.tk এর জন্য এই ব্লগপোস্টটি তৈরি করব। পরবর্তী পেইজে Add a blog account এর অন্তর্গত টেক্সটবক্সগুলোতে আপনার Web Address, User Name এবং Password দিন। এরপর Remember my password চেক করে Next বাটনে ক্লিক করুন।
পরবর্তী পেইজে ব্লগ টাইপ সিলেক্ট করুন। আপনার ওয়েব-সাইটটি যদি ওয়ার্ডপ্রেস এ তৈরি হয়ে থাকে তাহলে লিস্ট থেকে WordPress সিলেক্ট করুন এবং Remote posting web address for your blog এ http://<hostname>/<wp_path>/xmlrpc.php স্থলে আপনার হোস্টনেইম এবং কোন ফোল্ডারে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা আছে তা স্থানান্তর করে Next বাটনে ক্লিক করুন। আপনার ব্লগটি যদি হোস্টিং সার্ভারের মূল ফোল্ডারে ইন্সটল করা থাকে, তবে <wp_path>/ এর স্থলে কিছু লেখার প্রয়োজন নেই (খালি রাখবেন)। আমার ওয়েব-সাইটটি মূল ফোল্ডারে ইন্সটল করা আছে। তাই আমি খালি রেখেছি। ব্যপারটি বুঝতে অসুবিধা হলে নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন।
এরপর আপনার ওয়েব সার্ভারের সাথে Windows Live Writer সংযোগ স্থাপন করবে। তাই ইন্টারনেট কানেক্টেড না থাকলে কানেক্টেড হোন। এতে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার ওয়েব সার্ভারের সাথে সফটওয়্যারটির সংযোগ স্থাপিত হয়ে যাবে এবং ব্লগের ক্যাটাগরি, ট্যাগ, থীম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট অটোমেটিক ডাউনলোড করে নেবে। এরপর আপনার ব্লগের Nickname জানতে চাইবে এবং আপনি চাইলে Windows Live এ আপনার ব্লগের ঠিকানা শেয়ার করতে পারেন। সবশেষে Finish বাটনে ক্লিক করে উইন্ডোটি ক্লোজ করুন।
এতে সফটওয়্যারটির মূল উইন্ডো ওপেন হবে। আপনার ব্লগের থীমটি অটো ডাউনলোড হলে যথারীতি দেখতে পাবেন। এবার আপনার পছন্দ অনুযায়ী উল্লেখিত লিস্ট থেকে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন, পছন্দমত ও সংশ্লিষ্টতা রেখে ট্যাগ লিখুন। অন্যকোন দিন পোস্টটি আপলোড করতে চাইল পোস্ট এর তারিখ পরিবর্তন করে দিন। আপনি ইচ্ছে করলে ডানপাশের উপরিভাগে Select All লিংকে ক্লিক করে ব্লগপোস্টটির কমেন্ট ইনেবল/ডিজেবল করতে পারেন, পিং এর অনুমতি দিতে পারেন, লেখক পরিবর্তন করতে, পাসওয়ার্ড প্রোটেক্টেড করতে কিংবা সারমর্ম তৈরি করতে পারেন।
মাইক্রোসফট অফিসের অন্যান্য সফটওয়্যার যেমন Microsoft Word, Excel, PowerPoint ইত্যাদির মত এই সফটওয়্যারটির উপরিভাগেও অনেকগুলো ট্যাব, সেকশন ও বাটন দেখতে পাবেন। এই বাটনগুলো Home, Insert এবং Blog Account ট্যাবে সাজানো। কিছু কিছু ট্যাব লুকানো থাকে। যেমনঃ Picture Tools, Table Tool (Layout) ইত্যাদি। Picture Tools ট্যাবটি দেখতে পাবেন কোন ছবি সিলেক্ট করা থাকলে আর Table Tool টি দেখতে পাবেন কোন টেবিল ইনসার্ট করলে।
চিত্রঃ Picture Tool
এই ট্যাবটিতে ইনসার্টকৃত ছবি কাটাকুটি করা, সাইজ নির্ধারণ করা, ছবি ডানে/বামে ঘুরানো, বর্ডার দেয়া, ছবির ইফেক্ট দেয়া, কন্ট্রাস্ট ঠিক করা, ওয়াটারমার্ক দেয়া, ছবিটিকে লিংক হিসেবে তৈরি করা, পরিবর্তিত টেক্সট দেয়া, এলাইনমেন্ট ঠিক করা এবং মার্জিন ঠিক করার মত কাজ করতে পারবেন।
চিত্রঃ Table Tool (Layout)
এই ট্যাবটিতে কোন Row, Column, Table ডিলিট করা, কলাম/রো ইনসার্ট করা, স্থানান্তরিত করার কাজ করতে পারবেন।
ট্যাবগুলো, এর অন্তর্গত সেকশন এবং বাটনগুলো খুব সোজাসাপ্টা কথায় লেখা। খুব সহজেই বুঝে যাবেন কোনটা কি কাজ করে। তবুও পাঠকদের সুবিধার্থে অন্যান্য কমন ট্যাবগুলোরও হালকা বর্ণনা দেয়া হলো।
চিত্রঃ Home ট্যাব
চিত্রঃ Insert ট্যাব
চিত্রঃ ফটো এলবাম তৈরি
চিত্রঃ Blog Account ট্যাব
চিত্রঃ File মেন্যু
সফটওয়্যারটির নিচের বাম অংশে Edit, Preview ও Source নামে তিনটি ট্যাব দেখতে পাবেন। Edit এ থাকা অবস্থায় আপনি সরাসরি ব্লগ লিখতে পারবেন। Preview ট্যাবের মাধ্যমে ব্লগপোস্টটি পাবলিশের আগেই আপনার ব্লগে কেমন দেখাবে তা জানতে পারবেন। Source ট্যাবে আপনি ব্লগ পোস্টটির HTML ভার্সন পাবেন এবং চাইলে এর কোডগুলো সম্পাদনাও করতে পারবেন। ডানপাশের নিচে দেখতে পাবেন কখন আপনার পোস্টটি অটোমেটিক সেইভ হয়ে যাচ্ছে, কখন সর্বশেষ সেইভ হয়েছে কিংবা পোস্ট হয়েছে।
চিত্রঃ Source ট্যাব
আপনার কম্পিউটারে সেইভকৃত কিংবা ওয়েব-সাইটে আপলোডকৃত পোস্টগুলো সাধারণতঃ আপনার কম্পিউটারের Library > Documents > My Blogpost এ পাবেন।
এ অসাধারণ সফটওয়্যারটি একজন ব্লগারের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি সফটওয়্যার। আপনি যদি ব্লগ লিখতে ভালবাসেন তবে অবশ্যই এই সফটওয়্যার আপনার অনেক উপকারে আসবে এবং আমার মত আপনিও এর প্রেমে পড়ে যাবেন। শুভকামনা রইল।
[এই পোস্টটি সর্বপ্রথম http://asadulhoque.tk/computer/1856.html লিংকে পাবলিশ হয়।]
উপকারিতা
- পোস্ট লেখার সময় অনলাইনে থাকার প্রয়োজন নেই।
- এক পোস্টে ছবি, ভিডিও কিংবা অন্য কোন কন্টেন্ট আপলোড করার জন্য বারবার আপলোড উইন্ডো ওপেন করা লাগেনা। তাই সময় বাঁচে এবং ব্যান্ডউইথ অপচয়ও হয় না।
- পোস্ট লেখা শেষে অনলাইনে আপলোড করতে শুধু এক ক্লিকই যথেষ্ট।
- একই পোস্ট একাধিক ব্লগে আপলোড করতে ঝামেলা অনেক, অনেক কমে যায়।
- কোন পোস্ট নিজের কম্পিউটারেই সংরক্ষণ করে রাখা যায়, ব্যাক-আপ করে রাখা যায়, এমনকি পেনড্রাইভ বা ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভের মাধ্যমে অন্য কোন কম্পিউটারে পোস্টগুলো স্থানান্তরিতও করা যায়।
- এসব সফটওয়্যারের সাধারণতঃ কোডিং ভার্সনও থাকে। তাই ব্যবহারকারী চাইলে পোস্টের মধ্যে এইচটিএমএল, ইনলাইন সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট কোডও নিজের প্রয়োজন, ইচ্ছেমতো লিখতে পারেন। তবে সাধারণতঃ সার্ভারে রেন্ডার হওয়া স্ক্রিপটিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমনঃ পিএইচপি কোড এক্ষেত্রে কাজ করবে না।
- সাধারণতঃ ফ্রি-তেই এসব সফটওয়্যার পাওয়া যায়।
- নতুন কোন পোস্ট লিখতে ব্লগে বারবার লগ-ইন করা লাগে না।
- একবার কনফিগারেশন করলেই চলে। এরপর যতবার এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা লাগবে আর কনফিগারেশনের প্রয়োজন নেই।
প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার
অফলাইনে ব্লগপোস্ট লিখতে আপনি বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ BlogDesk, BlogJet, Microsoft Word, Windows Live Writer ইত্যাদি। তবে এদের মধ্যে Windows Live Writer ই সবচেয়ে ভাল। আমি এখানে আপনাদের দেখাব কিভাবে এ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে একটি WordPress চালিত ওয়েব-সাইটে ব্লগপোস্ট করতে পারেন। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন যে, আপনার WordPress সাইটটিতে xml-rpc সেটিংসটি ইনেবল করা থাকতে হবে। সাধারণতঃ বেশির ভাগ ব্লগেই এই অপশনটি বাই-ডিফল্ট অন থাকে। তাই চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই।এ সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই (http://windows.microsoft.com/en-us/windows-live/essentials) লিংকে ভিজিট করুন, উপরের ছবির ন্যায় একটি ওয়েব পেইজ আসবে। এখান থেকে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে Windows Live Essentials সফটওয়্যার স্যুটটি ডাউনলোড ও ইন্সটল করে নিন। সফটওয়্যার স্যুটটি ডাউনলোড হতে বেশ কিছুক্ষণ সময় নিবে। এসময় অন্যকোন কাজ সেরে নিতে পারেন। ডাউনলোড সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হলে আমার আগের পোস্টটি (http://asadulhoque.tk/computer/1773.html) পড়তে পারেন।
ইন্সটল শেষে সফটওয়্যারটি স্টার্ট মেনু থেকে ওপেন করুন।
কনফিগারেশন
সফটওয়্যারটি প্রথমবার ব্যবহার করার শুরুতে এটিকে কনফিগার করে নিতে হবে।Next বাটনে চাপুন। এরপর আপনাকে জানতে চাইবে Which blog service do you use? নতুন কোন ব্লগ তৈরি করতে Create a new blog সিলেক্ট করুন অথবা Existing ব্লগের জন্য WordPress, Blogger ইত্যাদি প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে সংশ্লিষ্ট টাইপ সিলেক্ট করে Next করুন। এক্ষেত্রে আমি আমার ওয়েব-সাইট http://asadulhoque.tk এর জন্য এই ব্লগপোস্টটি তৈরি করব। পরবর্তী পেইজে Add a blog account এর অন্তর্গত টেক্সটবক্সগুলোতে আপনার Web Address, User Name এবং Password দিন। এরপর Remember my password চেক করে Next বাটনে ক্লিক করুন।
পরবর্তী পেইজে ব্লগ টাইপ সিলেক্ট করুন। আপনার ওয়েব-সাইটটি যদি ওয়ার্ডপ্রেস এ তৈরি হয়ে থাকে তাহলে লিস্ট থেকে WordPress সিলেক্ট করুন এবং Remote posting web address for your blog এ http://<hostname>/<wp_path>/xmlrpc.php স্থলে আপনার হোস্টনেইম এবং কোন ফোল্ডারে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা আছে তা স্থানান্তর করে Next বাটনে ক্লিক করুন। আপনার ব্লগটি যদি হোস্টিং সার্ভারের মূল ফোল্ডারে ইন্সটল করা থাকে, তবে <wp_path>/ এর স্থলে কিছু লেখার প্রয়োজন নেই (খালি রাখবেন)। আমার ওয়েব-সাইটটি মূল ফোল্ডারে ইন্সটল করা আছে। তাই আমি খালি রেখেছি। ব্যপারটি বুঝতে অসুবিধা হলে নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন।
এরপর আপনার ওয়েব সার্ভারের সাথে Windows Live Writer সংযোগ স্থাপন করবে। তাই ইন্টারনেট কানেক্টেড না থাকলে কানেক্টেড হোন। এতে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার ওয়েব সার্ভারের সাথে সফটওয়্যারটির সংযোগ স্থাপিত হয়ে যাবে এবং ব্লগের ক্যাটাগরি, ট্যাগ, থীম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট অটোমেটিক ডাউনলোড করে নেবে। এরপর আপনার ব্লগের Nickname জানতে চাইবে এবং আপনি চাইলে Windows Live এ আপনার ব্লগের ঠিকানা শেয়ার করতে পারেন। সবশেষে Finish বাটনে ক্লিক করে উইন্ডোটি ক্লোজ করুন।
এতে সফটওয়্যারটির মূল উইন্ডো ওপেন হবে। আপনার ব্লগের থীমটি অটো ডাউনলোড হলে যথারীতি দেখতে পাবেন। এবার আপনার পছন্দ অনুযায়ী উল্লেখিত লিস্ট থেকে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন, পছন্দমত ও সংশ্লিষ্টতা রেখে ট্যাগ লিখুন। অন্যকোন দিন পোস্টটি আপলোড করতে চাইল পোস্ট এর তারিখ পরিবর্তন করে দিন। আপনি ইচ্ছে করলে ডানপাশের উপরিভাগে Select All লিংকে ক্লিক করে ব্লগপোস্টটির কমেন্ট ইনেবল/ডিজেবল করতে পারেন, পিং এর অনুমতি দিতে পারেন, লেখক পরিবর্তন করতে, পাসওয়ার্ড প্রোটেক্টেড করতে কিংবা সারমর্ম তৈরি করতে পারেন।
মাইক্রোসফট অফিসের অন্যান্য সফটওয়্যার যেমন Microsoft Word, Excel, PowerPoint ইত্যাদির মত এই সফটওয়্যারটির উপরিভাগেও অনেকগুলো ট্যাব, সেকশন ও বাটন দেখতে পাবেন। এই বাটনগুলো Home, Insert এবং Blog Account ট্যাবে সাজানো। কিছু কিছু ট্যাব লুকানো থাকে। যেমনঃ Picture Tools, Table Tool (Layout) ইত্যাদি। Picture Tools ট্যাবটি দেখতে পাবেন কোন ছবি সিলেক্ট করা থাকলে আর Table Tool টি দেখতে পাবেন কোন টেবিল ইনসার্ট করলে।
চিত্রঃ Picture Tool
এই ট্যাবটিতে ইনসার্টকৃত ছবি কাটাকুটি করা, সাইজ নির্ধারণ করা, ছবি ডানে/বামে ঘুরানো, বর্ডার দেয়া, ছবির ইফেক্ট দেয়া, কন্ট্রাস্ট ঠিক করা, ওয়াটারমার্ক দেয়া, ছবিটিকে লিংক হিসেবে তৈরি করা, পরিবর্তিত টেক্সট দেয়া, এলাইনমেন্ট ঠিক করা এবং মার্জিন ঠিক করার মত কাজ করতে পারবেন।
চিত্রঃ Table Tool (Layout)
এই ট্যাবটিতে কোন Row, Column, Table ডিলিট করা, কলাম/রো ইনসার্ট করা, স্থানান্তরিত করার কাজ করতে পারবেন।
ট্যাবগুলো, এর অন্তর্গত সেকশন এবং বাটনগুলো খুব সোজাসাপ্টা কথায় লেখা। খুব সহজেই বুঝে যাবেন কোনটা কি কাজ করে। তবুও পাঠকদের সুবিধার্থে অন্যান্য কমন ট্যাবগুলোরও হালকা বর্ণনা দেয়া হলো।
Home Tab
এই ট্যাবের অন্তর্গত Clipboard এর মাধ্যমে কপি, পেস্ট করতে পারবেন। Publish সেকশনে ব্লগ লেখা শেষ হলে পাবলিশ করতে পারবেন, নতুন অন্যকোন ব্লগে একই পোস্ট আপলোড করতে লিস্ট থেকে ব্লগ সিলেক্ট করতে পারবেন অথবা ব্লগে পরবর্তীতে সম্পাদনা করার জন্য Draft হিসেবে সংরক্ষণ করেও রাখতে পারবেন। Font সেকশনে ফন্ট বড়, ছোট, রাঙ্গানো, মোটা করা, বাঁকানো ইত্যাদি কমন কাজগুলো করতে পারবেন। Paragraph সেকশনে এলাইনমেন্ট, বুলেট ও উক্তির কাজ করতে পারবেন। HTML styles সেকশনে পোস্টের নির্দিষ্ট কোন অংশের স্টাইল সিলেক্ট করে দিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, যদি আপনার ব্লগের থীমটি উক্ত স্টাইল সংজ্ঞায়িত না করে, তবে এই সফটওয়্যারে যাই দেখাক না কেনো, কোন ফল দিবে না। Insert সেকশনে Hyperlink তৈরি করতে পারবেন, ছবি কিংবা ভিডিও সংযুক্ত করতে পারবেন। Editing সেকশনে শব্দ গণনা, খুঁজে বের করা, ইংরেজি বানান চেক করার কাজ করতে পারবেন।চিত্রঃ Home ট্যাব
Insert Tab
এই ট্যাবের Breaks সেকশনে লম্বা দাগ টানা, প্যারাগ্রাফের মাঝখানে স্পষ্ট গ্যাপ তৈরি করা, আরো পড়ুন লিংক সংযুক্ত করা যাবে। এছাড়াও এ ট্যাবের মাধ্যমে আপনি পোস্টের মধ্যে টেবিল তৈরি, লিংক তৈরি, ছবি, এলবাম, ভিডিও, ম্যাপ, ইমোটিকন ইনসার্ট করতে পারবেন। এ সফটওয়্যারটির বেশ কিছু প্লাগ-ইন উইন্ডোজের ওয়েব-সাইট থেকে ডাউনলোড করা যায়। এগুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি প্লাগ-ইন হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং, যার মাধ্যমে আপনার পোস্টটির লিংক ফেইসবুকে, টুইটারে শেয়ার করতে পারবেন।চিত্রঃ Insert ট্যাব
চিত্রঃ ফটো এলবাম তৈরি
Blog Account Tab
এই ট্যাবে আপনার ব্লগের অপশন পরিবর্তন করতে পারবেন এবং আপনার ব্লগের বিভিন্ন শর্টকাট পাবেন। চাইলে ব্লগের থীমে আপনার পোস্টটি কেমন দেখাবে তাও পরীক্ষা করে নিতে পারবেন এখান থেকে।চিত্রঃ Blog Account ট্যাব
File Menu
এই মেন্যুর মাধ্যমে নতুন কোন পোস্ট তৈরি, পুরনো সেইভকৃত, পাবলিশকৃত পোস্টগুলো ওপেন করতে, সেইভ করতে, পাবলিশ করতে কিংবা সফটওয়্যারটির অপশন পরিবর্তন করতে পারবেন।চিত্রঃ File মেন্যু
সফটওয়্যারটির নিচের বাম অংশে Edit, Preview ও Source নামে তিনটি ট্যাব দেখতে পাবেন। Edit এ থাকা অবস্থায় আপনি সরাসরি ব্লগ লিখতে পারবেন। Preview ট্যাবের মাধ্যমে ব্লগপোস্টটি পাবলিশের আগেই আপনার ব্লগে কেমন দেখাবে তা জানতে পারবেন। Source ট্যাবে আপনি ব্লগ পোস্টটির HTML ভার্সন পাবেন এবং চাইলে এর কোডগুলো সম্পাদনাও করতে পারবেন। ডানপাশের নিচে দেখতে পাবেন কখন আপনার পোস্টটি অটোমেটিক সেইভ হয়ে যাচ্ছে, কখন সর্বশেষ সেইভ হয়েছে কিংবা পোস্ট হয়েছে।
চিত্রঃ Source ট্যাব
আপনার কম্পিউটারে সেইভকৃত কিংবা ওয়েব-সাইটে আপলোডকৃত পোস্টগুলো সাধারণতঃ আপনার কম্পিউটারের Library > Documents > My Blogpost এ পাবেন।
এ অসাধারণ সফটওয়্যারটি একজন ব্লগারের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি সফটওয়্যার। আপনি যদি ব্লগ লিখতে ভালবাসেন তবে অবশ্যই এই সফটওয়্যার আপনার অনেক উপকারে আসবে এবং আমার মত আপনিও এর প্রেমে পড়ে যাবেন। শুভকামনা রইল।
[এই পোস্টটি সর্বপ্রথম http://asadulhoque.tk/computer/1856.html লিংকে পাবলিশ হয়।]
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রিয় পাঠক, আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগায় তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত/মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।পোস্টটি পড়ার পর আপনার ভাল-লাগা,মন্দ-লাগা,জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আপনার একটি মন্তব্যই আমার নিকট অনেক মূল্যবান।আসসালামু আলাইকুম...