Translate

উইন্ডোজ কম্পিউটারে পেনড্রাইভকে ব্যবহার করুন র‌্যাম হিসেবে!!!

র‌্যানডম এক্সেস মেমোরি বা র‌্যাম পিসির হার্ডওয়্যারের একটি অপরিহার্য এবং খুবই গুরুত্বপূর্ন অংশ। র‌্যামের স্বল্পতার কারনে সাধারনত পিসি স্লো হয়ে যায়। আপনি ইচ্ছে করলে সহজেই আপনার পেনড্রাইভ অথবা যে কোন ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে র‌্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার পিসির সার্বিক কর্মক্ষমতা এবং গতি কিছুটা হলেও বাড়বে।
mickey-mouse-usb-flash-drive
এখানে আমি দুটি পদ্ধতির কথা জানাবো। একটি উন্ডোজের যে কোন অপারেটিং সিস্টেম এ কাজ করবে এবং অপরটি শুধুমাত্র উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন এ কাজ করবে।
এর আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা ভাল। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কম্পিউটারের কাজের জন্য দুটি মেমোরি ব্যবহার করে:
১. Physical Memory (যা আমাদের কাছে র‌্যাম হিসেবে পরিচিত)
২. Page File (এটি একটি ভার্চুয়াল মেমোরি ফাইল, যা হার্ডডিস্ক এ স্টোর করা থাকে)
Physical Memory যখন সম্পুর্ণ হয়ে যায় তখন অতিরিক্ত মেমোরি হিসেবে Virtual Memory ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ্য যে Physical Memory, Virtual Memory অপেক্ষা দ্রুত কাজ করে এবং Virtual Memory, Physical Memory অপেক্ষা কম গতি সম্পন্ন।
প্রথমেই সকল অপারেটিং সিস্টেম অর্থাত উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন এর পদ্ধতিটি বলি। এখানে আমি খুব সহজেই ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে Page File হিসেবে ব্যবহার করার পদ্ধতিটি বলছিঃ
  • আপনার পেনড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভটিকে কম্পিউটারে কানেক্ট করুন। [ড্রাইভটি নুন্যতম ১ গিগাবাইটের হতে হবে। তবে ৪ গিগাবাইট হলে সবচেয়ে ভাল হয়]
  • My Computer আইকনে রাইট ক্লিক করুন এবং Properties এ যান। অথবা মাই কম্পিউটারে প্রবেশ করে যেকোন খালি জায়গায় রাইট বাটন ক্লিক করেও এটি করা যায়।
  • Advanced > Performance > Settings > Advanced > Change এ ক্লিক করুন।
  • এখানে ডিফল্ট হিসেবে সাধারনত No paging file সিলেক্ট করা থাকে।
syspro
  • এবার আপনার পেনড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভটি সিলেক্ট করে Custom Size এ ক্লিক করুন।
  • Initial size এবং Maximum size এ একই সংখ্যা লিখুন। আপনি যতটুকু জায়গা র‌্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে চান এখানে সেটাই লিখতে হবে।
  • উইন্ডোজের ৫ মেগাবাইট ফ্রি জায়গার প্রয়োজন হয়। তাই Initial size এবং Maximum size এ Available Space থেকে নুন্যতম ৫ মেগাবাইট কম লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনার পেন ড্রাইভে যতটুকু জায়গা রয়েছে তার চাইতে ৫-১০ মেগাবাইট কম লিখুন।
  • এবার Apply, OK এবং OK দিয়ে কম্পিউটারটি Restart করুন।
উল্লেখ্য যে আপনি এই পদ্ধতিতে হার্ডডিস্কের ফ্রি স্পেসকেও Page File হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এটি কম গতিসম্পন্ন হওয়ায় কমপক্ষে ৮ গিগাবাইট মেমোরি ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।
এবার উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন এর পদ্ধতিটি বলিঃ
উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন এ মাইক্রোসফট প্রযুক্তির বিশ্বে একটি নতুন প্রযুক্তির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়েছে। তা হল Ready Boost Technology. এটির সাহায্যে পেনড্রাইভ বা যে কোন ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে কম্পিউটারের তৃতীয় মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
Ready Boost অ্যাকটিভেট করতে হলে প্রথমে আপনার পেনড্রাইভ অথবা ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে কম্পিউটারে কানেক্ট করুন এবং নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন:
  • My Computer ওপেন করুন।
  • Removable Disk Drive টির Properties এ যান।
  • Ready Boost ট্যাবটিতে ক্লিক করুন।
  • আপনি যতটুকু জায়গা মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করতে চান তা সিলেক্ট করে Ready Boost Enable করুন।
এই বিষয়গুলো লক্ষ করুন:

  • আপনি Ready Boost ব্যবহার করুন আর নাই করুন, উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন আপনার কম্পিইটারে ব্যবহারের জন্য নুন্যতম ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম থাকা প্রয়োজন। উল্লেখ্য যে, ১ গিগাবাইট র‌্যাম থাকলে ভাল হয়।
  • আপনি যখন পেনড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করবেন, তখন আপনার সিলেক্ট করা জায়গাটুকু ফাইল স্টোরেজের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন না।
  • যদি আপনার ডিভাইসটিতে Ready Boost অ্যাকটিভেট করা না যায়, তাহলে আপনার ডিভাইসটিতে Ready Boost অ্যাকটিভেট করার জন্য নুন্যতম ডাটা ট্রান্সফার রেট (২ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ড) এর ঘাটতি রয়েছে। তাই আপনার ডিভাইসটি Ready Boost সাপোর্ট করেনা।
সাধারনত সনির এম ২ মেমোরি কার্ড যা সকল সনি এরিকসন মোবাইলৈ ব্যবহৃত হয় তা Ready Boost সাপোর্ট করেনা। কারন এম ২ কার্ডের ডাটা ট্রান্সফার রেট ২ মেগাবাইটের কম। তবে এখনকার বেশিরভাগ মেমোরি কার্ড, পেনড্রাইভ এবং ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ই Ready Boost সাপোর্ট করে।
উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে আপনি যে কোন উইন্ডোজ কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন।
Share on Google Plus

About Unknown

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিয় পাঠক, আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগায় তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত/মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।পোস্টটি পড়ার পর আপনার ভাল-লাগা,মন্দ-লাগা,জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আপনার একটি মন্তব্যই আমার নিকট অনেক মূল্যবান।আসসালামু আলাইকুম...