ওজন কমানোর জন্য সকালে না খেয়ে থাকেন? জেনে রাখুন, এর চাইতে বড় ভুল আর হতেই পারে না। এই কাজটি ওজন তো কমায়ই না, বরং আপনার ওজন বৃদ্ধিকে আরও বাড়িয়ে দেয়। সত্য কথাটা এই যে ওজন কমাতে চাইলে সকাল বেলা পেটপুরে খেয়েই দিন শুরু করতে হবে। দ্রুত ওজন কমাতে চান? তাহলে রোজ সকালে খেয়ে দেখুন এই খাবারগুলো। শুধু খেলেই হবে না, কোনটি কখন খাবেন সেটিও জানতে হবে। জেনে নিন ওজন কমানোর জন্য সকাল বেলার “ব্রেকফাস্ট রুটিন”।
দিন শুরু হোক এক গ্লাস পানিতে
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই পান করুন এক গ্লাস পানি। ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমের পর বলাই বাহুল্য যে আপনার পাকস্থলী খালি হয়ে গেছে এবং শরীরে কমে গিয়েছে পানির পরিমাণ। এমন সময়ে এক গ্লাস পানির চাইতে চমৎকার আর কিছুই হতে পারে না। এই পানি মুহূর্তের মাঝে চাঙা করে তুলবে আপনাকে এবং একই সাথে বাড়িয়ে তুলবে আপনার মেটাবোলিজম, যা ওজন কমানোর মূল মন্ত্র।
মেটাবলিজম বাড়াতে আরও একটি কাজ
মেটাবোলিজম কম হওয়াটা এবং প্রয়োজনের চাইতে বেশী খেয়ে ফেলাটাই ওজন বৃদ্ধির প্রধান কারণ। বেশী খাওয়া নাহয় নিয়ন্ত্রণ করলেন, কিন্তু মেটাবোলিজম বাড়াবেন কীভাবে? মেটাবোলিজম কম হওয়ার কারণেই শত ডায়েট করা সত্ত্বেও ওজন কমে না। মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করতে রোজ সকালে নাস্তার কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে করুন একটি কাজ। আধা গ্লাস উষ্ণ পানির সাথে পাকা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। কিংবা খেয়ে নিতে পারেন এক টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এই দুটি খাবারই আপনার পাকস্থলীকে সচল করে তুলবে এবং সারাদিন ধরেই ক্যালোরি পোড়াতে ভূমিকা রাখবে।
এবার নাস্তার পালা
ওজন কমাতে চাইলে সকালের নাস্তায় অবশ্যই রাখুন একটি ডিম। এই ডিম কেবল আপনার দেহে পুষ্টিই যোগাবে না, সারাদিন আপনার ক্ষুধা ভাবকেও নিয়ন্ত্রণ করবে। নানান গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সকালে ডিম খেয়ে ডায়েট করলে ওজন কমে দ্রুত। ডিম খাবেন সিদ্ধ বা পানি পোঁচ করে, যেন বাড়তি তেল না থাকে। ভাজা খেতে চাইলে খুবই সামান্য তেল দিয়ে অমলেট করুন, তবে চীজ বা অন্য কিছু দেবেন না। ডিমের সাথে খেতে পারেন ছোট ছোট দুটি আটার রুটি। ময়দার রুটি বা কোন রকমের পরোটা নয়, সাধারণ আটার রুটি রাখুন। লাল আটা হলে আরও ভালো। সাথে খান তেল বিহীন সবজি আপনার ইচ্ছা মত কিংবা যে কোন একটি ফল। এবং আধা কাপ নন ফ্যাট দুধও রাখতে পারেন। এছাড়া সকালে ওটস রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়। ডিমের মত ওটসও আপনার ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। যাদের ডিমে মানা বা এলারজি, তাঁরা খাবেন ১ টুকরো মুরগীর মাংস।
ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় নাস্তার পর
দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে কিছুদিন চা-কফি জাতীয় পানীয় থেকে দূরেই থাকুন। বিশেষ করে ঘুম থেকে ওঠার পর খালিপেটে চা খাওয়ার অভ্যাস তো একেবারেই ত্যাগ করতে হবে। তবে নাস্তার পর অবশ্যই পান করুন এক কাপ গ্রিন টি। এই গ্রিন টি রাতের খাবারের পরেও পান করবেন। ওজন কমাতে দারুণ ভূমিকা রাখবে গ্রিন টি এবং আপনার ঘুমেরও ব্যাঘাত করতে না।
কী খাবেন না ভুলেও?
কী খাবেন, সেটা জানার চাইতেও জরুরী এটা যে ওজন কমাতে চাইলে সকালের নাস্তায় কী খাবেন না। কোন রকম পাউরুটি বা কর্ণফ্লেক্স খেতে যাবেন না। কারণ এগুলোতে থাকে অনেকটা বাড়তি চিনি এবং ফাইবার নেই বললেই চলে। ওজন কমানোর মূল মন্ত্রটাই হচ্ছে হাই ফাইবার ও হাই প্রোটিন। কোন রকম চিনি ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খাবেন না সকালের নাস্তায়। নুডুলস, পাস্তা, চাওমিন জাতীয় সকল খাবার বাদ। দোকান বা ফ্যাক্টরির কোন খাবার না খেয়ে ঘরে তৈরি খাবার খান, নিদেন পক্ষে ফল ও সবজি খান। চা, কফি ও প্যাকেটের জুস পান করবেন না ভুলেও। জুস যদি খেতেই চান সেটা নিজের বাড়িতে চিনি ছাড়া তৈরি করে নিন। তবে নাস্তায় জুস পান না করে বেলা ১১ টার হালকা স্ন্যাক্সের সময়ে পান করলে আরও ভালো।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রিয় পাঠক, আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগায় তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত/মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।পোস্টটি পড়ার পর আপনার ভাল-লাগা,মন্দ-লাগা,জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আপনার একটি মন্তব্যই আমার নিকট অনেক মূল্যবান।আসসালামু আলাইকুম...