তীব্র রোদতাপে শরীরের ত্বক পুড়ে কালচে রূপ ধারণ করছে। কালচে হয়ে আসা ত্বকের যত্ন সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন রেড বিউটি সেলুনের কর্ণধার আফরোজা কামাল।
ত্বকের যত্ন বললেই আমরা ঘুরেফিরে আমাদের মুখের যত্নকেই বেশি প্রাধান্য
দিয়ে থাকি। অথচ মুখের ত্বকের সঙ্গে হাত-পায়ের ত্বকের যত্ন নেওয়া হয় না বলেই
আমাদের ত্বকের রঙে বিভিন্ন বৈসাদৃশ্য দেখা যায়। আবার রোদের তীব্রতা আর
নিজের অবহেলায়ও হাত-পায়ের কালো দাগ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। প্রতিদিনের চলাফেরায়
স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরের ত্বকে দাগের প্রলেপ পড়ে।
ভৌগোলিক কারণেও আমাদের ত্বকে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাব বেশি থাকে। তাই ত্বকের টোন সব সময় ঠিক থাকে না। এসব কারণে আমাদের হাত ও পায়ের বাহ্যিক অংশে দাগ বেশি দেখা যায়। আঙুলের গিঁটে, গোড়ালি ও নখে কালো ছোপ পড়তেও দেখা যায়। তাই তো রোদে পোড়া ভাব থেকে ত্বক বাঁচাতে প্রাকৃতিক যত্নের কোনো বিকল্প হতে পারে না।
রোদে পোড়া ভাব থেকে হাত-পায়ের ত্বককে রক্ষা করতে আমরা ঘরে বসেই আমাদের ত্বকের সহজ কিছু যত্ন নিতে পারি। তাই ঘরে বসে হাত-পায়ের কালো ছোপ দূর করতে ত্বকের যত্ন কী হতে পারে, তাতে চোখ বুলিয়ে নিন ঝটপট।
রোদে কুঁচকানো ত্বক :
২৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীদের ত্বকে দিনের পরিবর্তনের মাত্রাটা একটু বেশিই থাকে। এ বয়সী কারও কারও ত্বক রোদে পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুঁচকে আসতে থাকে। এটা এ বয়সী প্রত্যেকের শরীরের জন্য খুবই ভয়ানক। তাই এ ক্ষেত্রে হাত-পায়ের ত্বকে এমন কিছু প্যাকের ব্যবহার আনতে হবে যা কি-না রোদে পোড়া বা কুঁচকানো ত্বককে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে। এজন্য চন্দন গুঁড়া, কাঁচা হলুদ, মাষ কলাইয়ের ডাল ও মুগ ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে হাত-পায়ের ত্বকে লাগিয়ে ১৫/২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের টানটান ভাব ফিরে আসবে, হাত-পায়ের পুড়ে যাওয়া টোনিংটা চলে যাবে এবং ত্বক আগের মতই সৌন্দর্য ফিরে পাবে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য :
যাদের হাত-পায়ের ত্বক খুবই শুষ্ক এবং ত্বকে রোদে পোড়া ভাব রয়েছে তাদের জন্য এটি একটি উপকারী প্যাক হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। এজন্য সয়াবিন পাউডার, দুধের সর, কাঁচা হলুদ, গাজরের রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি শুষ্ক ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে অনেকটা চমকের মতোই কাজ করবে।
স্বাভাবিক ত্বক :
যাদের ত্বক অতিমাত্রায় তৈলাক্ত নয় আবার শুষ্কও নয় ঠিক এমন ত্বককেই স্বাভাবিক ত্বক হিসেবে ধরা হয়। স্বাভাবিক ত্বক যাদের, তাদের জন্য এখানে দুটি প্যাক দেওয়া হলো। প্রথমটি হতে পারে কাঁচা হলুদের সঙ্গে দুধ, মধু ও অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে রেখে ১০/১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। আর দ্বিতীয় প্যাকটি হতে পারে ডিমের কুসুম, এক টেবিল চামচ বেসন ও দুধ দিয়ে তৈরি সহজ একটি প্যাক। প্যাক ব্যবহারের ১০/১৫ মিনিটে ত্বক ধুয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এ প্যাক দুটি ব্যবহারে ত্বক তার হারানো লাবণ্য ফিরে পাবে।
তৈলাক্ত ত্বক :
যাদের ত্বক খুবই তৈলাক্ত তারা মসুরের ডাল বাটা, শসার রস ও ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাকটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই ফলপ্রসূ। তাই প্রথমে প্যাকটি তৈরি করে তারপর ত্বকে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে ১০/২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
স্ক্রাবের ব্যবহার :
হাত-পায়ের কালো দাগ দূর করতে সপ্তাহে একদিন স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য প্রয়োজন হবে এক টেবিল-চামচ করে চালের গুঁড়া, ময়দা, দুধ, শসার রস ও লেবুর রস। এর সঙ্গে মেশাতে হবে এক টেবিল চামচ নারকেল অথবা তিলের তেল। আবার অলিভ অয়েলও মেশানো যেতে পারে। এর সঙ্গে আরও লাগবে আধা চা চামচ মধু। প্যাকটি ক্রিমের মতো করে মিশিয়ে প্রতিটি দাগে ঘষতে হবে। তারপর ধুয়ে টোনিং করতে হবে।
টোনিং করতে শুধু দুধ ও মধুর ক্রিমের মতো মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। হালকা ঘষে পানিতে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা ক্রিম লাগাতে হবে।
আরও সহজ পদ্ধতিতেও দাগ দূর করতে চাইলে এক চা-চামচ লেবুর রসে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে দাগে ঘষতে পারেন। তবে সরাসরি কখনও লেবুর রস দাগে মাখাবেন না। লেবুর রস ত্বকে সহ্য না হলে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী ব্যবহার করতে পারেন। দুই টেবিল-চামচ ঘৃতকুমারীর শাঁসে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দাগে মাখালেও দাগ ধীরে ধীরে কমে আসবে।
আমাদের কিছু কিছু ত্বকের জন্য ত্বকের প্যান্টোনিংটা কিছুতেই দূর করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে ত্বকের প্যান্টোনিং ভাবটা দূর করতে ত্বকে কাঁচা হলুদের ব্যবহারটা বাড়ানো যেতে পারে। তবে ত্বকের বাহ্যিক অংশে আমরা যদি নিয়মিতভাবে সানবার্ন ব্যবহার করি তবেও আমাদের হাত-পায়ের কালো দাগ অনেকাংশে কমে আসবে।
রোদের মাঝেও ত্বকের ব্রাইটনেস বাড়াতে আমরা কেউ কেউ বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। অথচ রোদে যাওয়ার জন্য এসব প্রসাধনী ত্বকের জন্য মোটেই সুফল বয়ে নিয়ে আসে না বরং ত্বককে আরও রুক্ষ-শুষ্ক করে তুলে ত্বকের পুড়ে যাওয়া কালো দাগকে বেশি করে ফুটিয়ে তোলে। এই প্যাকগুলো নিয়মিত ব্যবহারে আমরা আমাদের শরীরের রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বক ও হাত-পায়ের কালো দাগকে সহজেই দূর করতে পারি। রোদ থেকে বাঁচতে নিত্যদিনের ব্যবহারে সুতি কাপড়, সানগ্গ্নাস ও রোদ প্রটেক্টেড ছাতা ব্যবহার করতে পারি। তাহলে খুব সহজেই আমাদের ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। তাই যতটা সম্ভব তীব্র রোদের হাত থেকে দূরে থাকতে হবে।
ভৌগোলিক কারণেও আমাদের ত্বকে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাব বেশি থাকে। তাই ত্বকের টোন সব সময় ঠিক থাকে না। এসব কারণে আমাদের হাত ও পায়ের বাহ্যিক অংশে দাগ বেশি দেখা যায়। আঙুলের গিঁটে, গোড়ালি ও নখে কালো ছোপ পড়তেও দেখা যায়। তাই তো রোদে পোড়া ভাব থেকে ত্বক বাঁচাতে প্রাকৃতিক যত্নের কোনো বিকল্প হতে পারে না।
রোদে পোড়া ভাব থেকে হাত-পায়ের ত্বককে রক্ষা করতে আমরা ঘরে বসেই আমাদের ত্বকের সহজ কিছু যত্ন নিতে পারি। তাই ঘরে বসে হাত-পায়ের কালো ছোপ দূর করতে ত্বকের যত্ন কী হতে পারে, তাতে চোখ বুলিয়ে নিন ঝটপট।
রোদে কুঁচকানো ত্বক :
২৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীদের ত্বকে দিনের পরিবর্তনের মাত্রাটা একটু বেশিই থাকে। এ বয়সী কারও কারও ত্বক রোদে পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুঁচকে আসতে থাকে। এটা এ বয়সী প্রত্যেকের শরীরের জন্য খুবই ভয়ানক। তাই এ ক্ষেত্রে হাত-পায়ের ত্বকে এমন কিছু প্যাকের ব্যবহার আনতে হবে যা কি-না রোদে পোড়া বা কুঁচকানো ত্বককে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে। এজন্য চন্দন গুঁড়া, কাঁচা হলুদ, মাষ কলাইয়ের ডাল ও মুগ ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে হাত-পায়ের ত্বকে লাগিয়ে ১৫/২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের টানটান ভাব ফিরে আসবে, হাত-পায়ের পুড়ে যাওয়া টোনিংটা চলে যাবে এবং ত্বক আগের মতই সৌন্দর্য ফিরে পাবে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য :
যাদের হাত-পায়ের ত্বক খুবই শুষ্ক এবং ত্বকে রোদে পোড়া ভাব রয়েছে তাদের জন্য এটি একটি উপকারী প্যাক হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। এজন্য সয়াবিন পাউডার, দুধের সর, কাঁচা হলুদ, গাজরের রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি শুষ্ক ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে অনেকটা চমকের মতোই কাজ করবে।
স্বাভাবিক ত্বক :
যাদের ত্বক অতিমাত্রায় তৈলাক্ত নয় আবার শুষ্কও নয় ঠিক এমন ত্বককেই স্বাভাবিক ত্বক হিসেবে ধরা হয়। স্বাভাবিক ত্বক যাদের, তাদের জন্য এখানে দুটি প্যাক দেওয়া হলো। প্রথমটি হতে পারে কাঁচা হলুদের সঙ্গে দুধ, মধু ও অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে রেখে ১০/১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। আর দ্বিতীয় প্যাকটি হতে পারে ডিমের কুসুম, এক টেবিল চামচ বেসন ও দুধ দিয়ে তৈরি সহজ একটি প্যাক। প্যাক ব্যবহারের ১০/১৫ মিনিটে ত্বক ধুয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এ প্যাক দুটি ব্যবহারে ত্বক তার হারানো লাবণ্য ফিরে পাবে।
তৈলাক্ত ত্বক :
যাদের ত্বক খুবই তৈলাক্ত তারা মসুরের ডাল বাটা, শসার রস ও ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাকটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই ফলপ্রসূ। তাই প্রথমে প্যাকটি তৈরি করে তারপর ত্বকে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে ১০/২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
স্ক্রাবের ব্যবহার :
হাত-পায়ের কালো দাগ দূর করতে সপ্তাহে একদিন স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য প্রয়োজন হবে এক টেবিল-চামচ করে চালের গুঁড়া, ময়দা, দুধ, শসার রস ও লেবুর রস। এর সঙ্গে মেশাতে হবে এক টেবিল চামচ নারকেল অথবা তিলের তেল। আবার অলিভ অয়েলও মেশানো যেতে পারে। এর সঙ্গে আরও লাগবে আধা চা চামচ মধু। প্যাকটি ক্রিমের মতো করে মিশিয়ে প্রতিটি দাগে ঘষতে হবে। তারপর ধুয়ে টোনিং করতে হবে।
টোনিং করতে শুধু দুধ ও মধুর ক্রিমের মতো মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। হালকা ঘষে পানিতে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা ক্রিম লাগাতে হবে।
আরও সহজ পদ্ধতিতেও দাগ দূর করতে চাইলে এক চা-চামচ লেবুর রসে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে দাগে ঘষতে পারেন। তবে সরাসরি কখনও লেবুর রস দাগে মাখাবেন না। লেবুর রস ত্বকে সহ্য না হলে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী ব্যবহার করতে পারেন। দুই টেবিল-চামচ ঘৃতকুমারীর শাঁসে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দাগে মাখালেও দাগ ধীরে ধীরে কমে আসবে।
আমাদের কিছু কিছু ত্বকের জন্য ত্বকের প্যান্টোনিংটা কিছুতেই দূর করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে ত্বকের প্যান্টোনিং ভাবটা দূর করতে ত্বকে কাঁচা হলুদের ব্যবহারটা বাড়ানো যেতে পারে। তবে ত্বকের বাহ্যিক অংশে আমরা যদি নিয়মিতভাবে সানবার্ন ব্যবহার করি তবেও আমাদের হাত-পায়ের কালো দাগ অনেকাংশে কমে আসবে।
রোদের মাঝেও ত্বকের ব্রাইটনেস বাড়াতে আমরা কেউ কেউ বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। অথচ রোদে যাওয়ার জন্য এসব প্রসাধনী ত্বকের জন্য মোটেই সুফল বয়ে নিয়ে আসে না বরং ত্বককে আরও রুক্ষ-শুষ্ক করে তুলে ত্বকের পুড়ে যাওয়া কালো দাগকে বেশি করে ফুটিয়ে তোলে। এই প্যাকগুলো নিয়মিত ব্যবহারে আমরা আমাদের শরীরের রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বক ও হাত-পায়ের কালো দাগকে সহজেই দূর করতে পারি। রোদ থেকে বাঁচতে নিত্যদিনের ব্যবহারে সুতি কাপড়, সানগ্গ্নাস ও রোদ প্রটেক্টেড ছাতা ব্যবহার করতে পারি। তাহলে খুব সহজেই আমাদের ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। তাই যতটা সম্ভব তীব্র রোদের হাত থেকে দূরে থাকতে হবে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রিয় পাঠক, আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখক কে ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগায় তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত/মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।পোস্টটি পড়ার পর আপনার ভাল-লাগা,মন্দ-লাগা,জিজ্ঞাসা কিংবা পরামর্শ প্রদানের জন্য দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আপনার একটি মন্তব্যই আমার নিকট অনেক মূল্যবান।আসসালামু আলাইকুম...